সোমবার সদর উপজেলার জগদল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ অবরোধ করে।
বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাসেল ও সুমন জানায়, পাঠ্যসূচি ঠিক না হওয়ায় রোববার তারা ও কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্লাসে বই নিয়ে আসেনি। এতে উত্তেজিত হয়ে সহকারী শিক্ষক (আইসিটি) আবুল কালাম আজাদ মুন্না তাদের দুজনসহ উজ্জ্বল ও সোহাগকে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করেন।
এতে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় অন্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে গিয়ে তারা প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে জানায় তারা।
এজন্য তারা সোমবার সকালে ক্লাস বর্জন করে। এক পর্যায়ে তারা স্কুলের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিদ্যালয় সংলগ্ন পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষাথীরা জানায়, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নকিবুল হাসান প্রধান এ্যাপোলো অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে ঘণ্টাখানেক পর তারা অবরোধ তুলে নেয়।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নকিবুল হাসান প্রধান এ্যাপোলো বলেন, “শিক্ষার্থীদের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শীঘ্রই সভা ডেকে আলোচনা করে পরবর্তি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মারধরের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ মুন্না বলেন, “এটাতো কলেজ নয়। ক্লাসে বই নিয়ে না আসলে আমি মারপিটের কথা আগেই বলেছিলাম।
“তারপরও কয়েকজন শিক্ষার্থী বই ছাড়াই ক্লাসে আসলে আমি মারপিট করি।”
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, ক্লাসে শিক্ষার্থীদের মারাপিট না করতে আমি মিটিং করে শিক্ষাকদের জানিয়েছিলাম। এরপরও মারপিটের ঘটনায় আবার শিক্ষকদের সঙ্গে বসা হবে।