এ ঘটনায় সেখানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। সরকারি ওই কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভুল করে ঘটনাটি ঘটেছে।
সকাল ৯টার দিকে মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হেমায়েত হোসেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ হান্নান ও খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদকে নিয়ে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করেন।
স্মৃতিসৌধের চারদিকে জুতা পায়ে স্মৃতিসৌধে না ওঠার নির্দেশাবলী লেখা থাকলেও এ সময় তারা জুতা পায়ে স্মৃতিসৌধে ঘোরাঘুরি করেন এবং ছবি তোলেন।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এমন কর্মকাণ্ডে হতবাক অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা ঘটনাটিকে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের অবমাননা বলে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হেমায়েত বলেন, “ভুলক্রমে ঘটনাটি ঘটে গেছে।”
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালির উপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার পর শুরু হয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ।
ঘোষণাপত্রে দেশের সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি এবং সৈয়দ নজরুল ইসলামকে প্রজাতন্ত্রের উপ-রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়।
এছাড়া তাজউদ্দিন আহমেদ ওই সরকারের প্রধানমন্ত্রী, খন্দকার মোশতাক আহমেদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামান স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
১৭ এপ্রিল সকালে মুজিবনগরে শপথগ্রহণের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠা লাভ করে।