পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রধান শিক্ষক খাদেমুল ইসলাম এ অভিযোগ করেছেন।
প্রধান শিক্ষক খাদেমুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত সভাপতি বজলার রহমানের মেয়ে রোববার বিদ্যালয়ের নির্ধারিত পোশাক পরে আসেনি। এজন্য অন্য যারা পোশাক পরে আসেনি তাদের মত তাকেও শ্রেণিকক্ষের পেছনের সারিতে বসতে বলা হয়।
‘অ্যাসেম্বলি শুরু হলে সে বাড়িতে চলে যায়।’
অ্যাসেম্বলি শেষে তিনি ৫ম শ্রেণির কক্ষে পড়াচ্ছিলেন। এ সময় সভাপতি বজলার রহমান তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে সেখানে আসেন। তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে মেয়েকে পেছনে বসতে বলার ঘটনা শোনেন বলে জানান তিনি।
‘এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সামনেই তিনি আমাকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি ও চড়-থাপ্পর মারেন।’
পরে অন্য শিক্ষকরা এসে তাকে উদ্ধার করেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিযুক্ত বজলার রহমান বলেন, ‘মেয়েকে পেছনে বসতে বলা হয়নি বরং তাকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
‘মেয়ের মুখে এমন কথা শুনে রেগে গেছি। এজন্য প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সামান্য ঠেলাঠেলি হয়েছে।’
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সামনে মারধরের শিকার ও অপদস্থ হওয়ার ঘটনায় তিনি লজ্জায় মুষড়ে পড়েছেন বলে জানান।
বিগত দিনে বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজের রড নিয়ে যেতে বাঁধা ও উন্নয়ন কাজের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে কথা বলায় এই সভাপতি তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন বলে জানান তিনি।