এই কলেজছাত্রী হত্যাকাণ্ড তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর কুমিল্লা ডিবির ওসি মোহাম্মদ মনজুর আলমের আবেদনে সোমবার এই আদেশ দেন জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগম।
এদিকে তনুর ব্যবহৃত পোশাক ও শরীরে পাওয়া অন্যান্য আলামত পরীক্ষার জন্য ঢাকায় সিআইডির পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় নিজের বাড়ির কয়েকশ গজের মধ্যে খুন হন ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী তনু। তখন ময়নাতদন্তের পর তনুকে তার মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুরে দাফন করা হয়।
এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে দেশজুড়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যেও খুনি শনাক্ত ও গ্রেপ্তার না হওয়ায় গত শুক্রবার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয ডিবিকে।
এরপর ডিবি আবেদন করলে আদালত সুষ্ঠু তদন্তে পূর্ণ ময়নাতদন্ত করতে কবর থেকে লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন বলে কুমিল্লার পিপি মোস্তাফিজুর রহমান লিটন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগম লাশ কবর থেকে উত্তোলনের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।”
আদালতের আদেশের পর তনুর কবরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে মুরাদনগর থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন জানিয়েছেন। লাশ না তোলা পর্যন্ত পুলিশ সেখানে থাকবে।
খুনের আগে তনুকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এখনও পাওয়া যায়নি, ফলে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ডিবির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের প্রাথমিক তদন্তে ধষণের আলামত মিলেছে। তবে তা নিশ্চিত হতে আরও পরীক্ষা করতে হবে।
সোমবার বিকালে তনুর পোশাকসহ পাওয়া কিছু আলামত পরীক্ষার জন্য ঢাকায় সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয় বলে কুমিল্লা ডিবির ওসি মনজুর আলম জানান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তদন্ত কাজ বিরামহীনভাবে চলছে।”
তনুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরসহ চারটি নম্বারের কললিস্ট বের করে, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলেও তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানা গেছে।
এদিকে তনু হত্যার মামলায় আসামির পক্ষে না দাঁড়ানোর আগাম ঘোষণা দিয়েছে কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতি।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম সাংবাদিকদের বলেন, “তনু হত্যা মামলায় বাদী পক্ষে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। কিন্তু আসামির পক্ষে কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির কোনো সদস্য দাঁড়াবেন না।”