প্রতি মাসে তিনি প্রায় লাখ টাকার ফুল বিক্রি করছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, আজিজের সাফল্য এলাকায় সাড়া ফেলেছে। অনেকেই লাভজনক এই ফুলের চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
আজিজ জানান, বেলনগর মাঠে ঢাকায় বসবাসকারী অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা নূর আলম খানের মালিকানাধীন দুই একর জমিতে চার বছর আগে তিনি জারবেরা ফুল চাষ শুরু করেন।
ভারত থেকে আনা এ ফুলের চারা প্রথমে তিনি বেনাপোল থেকে সংগ্রহ করেন। প্রতিটি ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে কেনা চারা তিনি পর্যায়ক্রমে দুই একর জমিতে ১০টি শেডে রোপণ করেন।
শুধু প্রাকৃতিক ও কম্পোস্ট সার এবং প্রয়োজনমতো পানি দিয়ে নিয়মিত পরিচর্যা করতে হয় এ ফুলের গাছ। রাসায়নিক সার লাগে না বলে খরচ কম, একটি গাছ থেকে বছরে শতাধিক ফুল পাওয়া যায়।
আজিজের জমিতে বর্তমানে লাল, সাদা, হলুদ, গোলাপি, খয়েরিসহ ১৮ রংয়ের ফুল রয়েছে।
তিন বছর ধরে তিনি স্থানীয় বাজারসহ ঢাকার বাজারে জারবেরা সরবরাহ করে আসছেন। জমি থেকে প্রতিটি ফুল ৮-১০ টাকায় বিক্রি করেন।
গতানুগতিক ফসল চাষের চেয়ে জারবেরা চাষ করে তিনি অনেক লাভবান হয়েছেন বলে জানান।
এ ফুলের ব্যাপক চাহিদা থাকায় এলাকার অনেকেই আজিজের জারবেরা বাগানে ছুটে আসছেন। নিজেরা চাষের আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
পাশের লখিন্দর গ্রামের মিল্টন হোসেন জারবেরা ফুলের ক্ষেত দেখে এসে জানান, তিনি বছরের পর বছর ধরে পৈত্রিক জমিতে ধান, পাট ও রবিশস্য চাষ করে আসছেন। কিন্তু তাতে এতো লাভ নেই।
আগামীতে আজিজের কাছ খেকে পরামর্শ নিয়ে নিজের জমিতে জারবেরা চাষ করার আগ্রহের কথা জানান তিনি।
মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের কর্মকর্তা কৃষিবিদ আমিরুল ইসলাম বলেন, “বর্তমানে মাগুরার কৃষকেরা ফুল চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আমাদের সেন্টার থেকে অনেকেই নতুন নতুন দেশি-বিদেশি ফুলের চারা সংগ্রহ করছেন।”
সদর উপজেলায় এ বছর প্রায় ২০ একর জমিতে ফুল চাষ হয়েছে বলে এই কর্মকর্তা জানান।