বুধবার বিকেল ৩টার দিকে রুমানা আকতার রুমির (২৪) লাশ শহরের রাধানগর রথঘর এলাকার বেগম ভিলা ছাত্রীনিবাস থেকে উদ্ধার করা হয় বলে জানান সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল হাসান।
নিহত রুমির বাবা নাটোর সদর উপজেলার বিলঘরিয়া গ্রামের লুৎফর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রুমি এডওয়ার্ড কলেজে লেখাপড়ার পাশাপাশি কলেজগেট এলাকার শামিম ফ্লাওয়ার মিলে খণ্ডকালীন চাকরি করত।
“সেই মিলমালিকের শ্যালক মুনমুন হোসেন মুন মাঝেমধ্যেই রুমিকে উত্ত্যক্ত করত বলে আমাকে কয়েকবার ফোন করে জানিয়েছে।”
মুনই রুমিকে হত্যা করে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে বলে এই বাবার অভিযোগ।
রুমির দুলাভাই কামরুল বলেন, “আমরা বারবার ওই ছাত্রীনিবাসে যেতে চেয়েছি। আমাদের যেতে দেওয়া হয়নি। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
“ছাত্রী নিবাসের পাশের লোকজন বলেছে, রুমির পা খাটের সাথে লাগানো ছিল। তাকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।”
এ ব্যাপারে মুনমুন হোসেন মুনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
ওসি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ বিষয়ে থানায় প্রথমে ইউডি মামলা এবং ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
রুমি চার ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন।