রোববার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে আবু হাসান (২০) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানান সিনিয়র এএসপি গাজিউর রহমান।
গত বছর ১০ জুন সন্ধ্যায় দুপচাঁচিয়া উপজেলার আটগ্রাম শাহপাড়ায় নিজ বাড়ির শোয়ার ঘরের দরজা ভেঙে হবিবর রহমান ধলুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার ও একটি হাসুয়া জব্দ করে পুলিশ।
জবানবন্দির বরাত দিয়ে এএসপি সাংবাদিকদের বলেন, বাবা ধলু ছিলেন হাড়কিপটে প্রকৃতির মানুষ। সামর্থ্য থ্কা সত্ত্বেও সংসারে টাকা-পয়সা খরচ করতেন না। হাসানকে লেখাপড়ার খরচ দিতেন না।
“হাসান নিজ চেষ্টায় এইচএসসি পাশ করে আযিযুল হক কলেজে ভর্তি হন। গত বছর ১০ জুন বিএসসি প্রথম বর্ষ পরীক্ষার ফরম পূরণের শেষ দিনও ধলু তাকে টাকা না দিলে হাসান তার ড্রয়ার খুলে ২৫০০ টাকা নিয়ে ফরম পূরণ করেন।”
পরে ধলু বাড়ি ফিরে টাকা না পেয়ে স্ত্রী ও বেড়াতে আসা বিবাহিত মেয়েকে মারধর করে তাড়িয়ে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হাসান মই বেয়ে উঠে চালের নিচের ফাঁকা জায়গা দিয়ে ধলুর ঘরে ঢুকে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।
আট মাস তদন্তের পর শনিবার পুলিশ ধলুর স্ত্রী, বিবাহিত দুই মেয়ে ও একমাত্র ছেলে হাসানকে আটক করে বলে জানান এএসপি।