শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাংসদ বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করার পর উপজেলা সদরে এ হামলা হয়।
ফেনী-২ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম হাজারীর অনুসারীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের একাংশের সমর্থন নিয়ে এমপি হওয়া রহিম।
“নিজাম হাজারী চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, নিরীহ মানুষকে অত্যাচার, নির্যাতন ও হত্যা করে ফেনীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। তার ক্যাডারা আমাদের মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে আজ আমার গাড়িবহরে হামলা করেছে,” বলেছেন তিনি।
হামলায় সাংসদের কিছু হয়নি। তার গাড়িবহরের একটি মাইক্রোবাসের কাচ ভেঙে যায়।
ইটের আঘাতে সোনাগাজী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেজবাহ উদ্দিনসহ তিনজন আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবীর বলেন, সন্ধ্যায় সাংসদ রহিম উল্যাহ ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে উপজেলার জিরো পয়েন্টে পৌঁছালে একদল লোক তার গাড়ি লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর অনুসারীদের সঙ্গে ফেনী-৩ আসনের সাংসদ রহিম উল্যাহ ও তার সমর্থক আওয়ামী লীগের একাংশের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরে বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে গুলিবর্ষণ ও ছুরিকাঘাতের পর গাড়িসহ পুড়িয়ে ফুলগাজীর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হককে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডে নিজাম হাজারীর সম্পৃক্ততার অভিযোগ তোলার পর রহিম উল্যাহর সঙ্গে তার বিরোধ শুরু হয় বলে স্থানীয়রা জানান।
এর জের ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা রহিম উল্যাহকে এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। তারপর থেকে বেশ কয়েকবার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
সন্ধ্যায় হামলার পর ঢাকায় না এসে বাড়ি ফিরে যান রহিম উল্যাহ।
নিজাম হাজারীর অনুসারী রুহুল আমিন ও হিরনের নেতৃত্বে এর আগে কয়েকবার তার ওপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন এই সাংসদ।