স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় সীমান্তের ৪৭-৪৮ নম্বর পিলারের মাঝে প্রধানঝিরি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তবে বিজিবি ও পুলিশ এ ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছে জানালেও মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করতে পারেনি।
উপজেলার দৌছড়ি মৌজা প্রধান মংনু হেডম্যানসহ স্থানীয়রা জানান, সোমবার ভোরে মুদি ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন (২০), নুরুল আমিন ভুট্টু (২৫) ও আমানুল্লাহ (২৩) সীমান্ত এলাকায় গেলে মিয়ানমারের নো ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় টহলরত বিজিপির সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
“দুই জন দ্রুত পালিয়ে আসলেও জয়নাল আবেদীন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।”
জয়নাল আবেদীন নাইক্ষ্যংছড়ির আছারতলী এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে বলে জানান মংনু।
ঘটনার পরপরই বিজিপি সদস্যরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে জয়নালের মরদেহটি নিয়ে যায় বলে জানান এলাকার লোকজন।
এ বিষয়ে বিজিবির ৫০ ব্যাটালিযনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শফিউল পারভেজ জানান, ঘটনাস্থলে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
“বিজিপির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা অস্বীকার করেছে।”
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, সকালে কাঠ সংগ্রহের জন্য তিন বাংলাদেশি যুবক মিয়ানমার সীমান্ত গেলে আকষ্মিকভাবে গুলি ছোঁড়ে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ।
“এতে দুই যুবক পালিয়ে আসলেও জয়নাল আবেদীন আর ফেরেননি। নিখোঁজ যুবককে উদ্ধারের তৎপরতা চলছে।”