মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাগুরা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ইমাউল হক মঙ্গলবার বেলা ৩টায় জেলার জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ অভিযোগপত্র দেন।
আসামিরা হলেন- সেন সুমন, মো. আলী, মুজিবর শেখ, সুমন কারিগর, ফরিদ, সাগর, বাপ্পি, ইলিয়াস, সোহেল রানা, লিটন, মিল্টন, নজরুল, সোবহান, সোলাইমান, তোতা, আয়নাল ও মুন্না।
এদের মধ্যে সেন সুমন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তোতা মাগুরা জেলা সমবায় লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ডিবি কর্মকর্তা ইমাউল জানান, হত্যা ও মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধের ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে নিহতের ছেলে রুবেল ভূইয়া হত্যা, অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্যসহ একাধিক ধারায় মামলা করেন।
“মামলার পর পুলিশ ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। মামলার প্রধান আসামিসহ একাধিক আসামিকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শেষে ঘটনার ১৭ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।”
তিনি বলেন, তোতা, আয়নাল ও মুন্না নামে তিনজনের নাম অন্তর্ভুক্ত এবং নাম পরিচয় ভুলের কারণে রানা নামে এক আসামিকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মামলার ৩ নম্বর আসামি আজিবর শেখ ঘটনার পর বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তার নামও অভিযোগপত্রে দেওয়া হয়নি।
নতুন সংযোজিত তিন আসামি ছাড়া এজাহারভুক্ত আসামি মুজিবর শেখ পলাতক রয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
গত ২৩ জুলাই মাগুরা শহরের দোয়ারপাড়ে চাঁদাবাজী, মাদক ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সমর্থক দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে মমিন ভূইয়া নামে একজন নিহত হন।
এ সময় গুলিবিদ্ধ হন সংঘাতে লিপ্ত এক পক্ষের নেতা কামরুল ভূইয়ার ভাবি অন্তঃসত্ত্বা নাজমা বেগম। পরদিন গুলির ক্ষত নিয়ে ভূমিষ্ঠ হয় তার শিশুটি।
এই ঘটনাটি তখন দেশজুড়ে আলোড়ন তুলেছিল। ঢাকায় চিকিৎসার পর শিশুটি সুস্থ হয়েছে।