গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. ফজলে এলাহী ভূঁইয়া সোমবার জনাকীর্ণ আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের প্রত্যেককে দশ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন বিচারক।
সর্বোচ্চ সাজার আদেশ পাওয়া ১১ আসামির মধ্যে ছয়জন রায়ের সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আ. হালিম ফকির, থানা যুবদলের সদস্য জজ মিয়া, থানা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য আল আমিন, সাবেক যুবদল সদস্য মাহবুবুর রহমান রিপন ও কাপাসিয়া কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জুয়েল পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে গাজীপুরের আদালত পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম জানান, রাজনৈতিক বিরোধের জেরে আসামিরা ২০০৩ সালের ১৭ অগাস্ট পাবুর বলখেলা বাজার এলাকায় তাসখেলার সময় কাপাসিয়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি জালাল সরকারকে (৩৫) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে।
ওই হত্যাকাণ্ডের পর নিহতের বড়ভাই মিলন উদ্দিন সরকার বাদি হয়ে কাপাসিয়া থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০০৪ সালে ২৩ জানুয়ারি ১১ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
এ মামলার শুনানিতে মোট ২২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি শোনেন বিচারক। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১৭ নভেম্বর তিনি রায়ের দিন ঠিক করে দেন।
বাদীপক্ষে আদালতে শুনানি করেন পিপি হারিছ উদ্দিন, এপিপি মো. মকবুল হোসেন কাজল ও অ্যাডভোকেট রেজাউর রহমান লস্কর।
আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শহিদ উজ্জামান ও অ্যাডভোকেট সুলতান উদ্দিন আহমদ।
রায়ের পর শহীদ উজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, “রায়ে ন্যায়বিচার হয়নি। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।”
অন্যদিকে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত আদালতের আদেশ কার্যকর করার দাবি জানান জালালের বাবা আমজাদ হোসেন সরকার, মা হালিমা বেগম এবং মেয়ে শাহরিয়া জামাল হৃদি।
আদালত পরিদর্শক রবিউল জানান, দণ্ডিতরা সাত দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন।