সোমবার নারায়ণগঞ্জের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মিয়াজি মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম দুই বছর আগের এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সাইদুর রহমান (২৩), তোফাজ্জল হোসেন (২২), শারজাহান জীবন (২১) ও জামান (২২)।
এদের মধ্যে শারজাহান জীবন ও জামান পলাতক রয়েছেন।
কিছুদিন আগে একই আদালত এই মামলায় অপর আসামি আল আমিনকে কিশোর অপরাধ আইনে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, বন্দর থানার কামতাল মালিভিটা গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্র রাকিবুল হাসান ইমনকে এলাকা থেকে ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি রাতে অপহরণ করা হয়।
এরপর ইমনের মা ফেরদৌসী বেগমের কাছে মোবাইল ফোনে দুর্বৃত্তরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
একই বছরের ৬ মার্চ এলাকার একটি মুরগির খামারের ডোবায় প্লাস্টিকের বস্তায় ইমনের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এ কে এম ফজলুর রহমান জানান, নিখোঁজের পর ওই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ইমনের মা ফেরদৌসী বেগম (৩২) বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
মামলায় কামতাল মালিভিটা গ্রামের নাসিরের ছেলে জসিম, জসিমের স্ত্রী শাহারা বানু, সিরাজের ছেলে মাসুম ও নুরুল আমিন, প্রতিবেশী আইউব আলীর ছেলে পিয়ারকে আসামি করা হয় বলে জানান তিনি।
এপিপি আরও জানান, পরে পুলিশ সন্দেহভাজন চারজন কামতাল মালিভিটা গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে সাইদুর রহমান, মহব্বত আলীর ছেলে তোফাজ্জল হোসেন, আলী আহমদ মতির ছেলে জামাল ও নুরুল ইসলামের ছেলে শাহজাহান ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে তিনজন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া এলাকার এইচজিএস স্মৃতি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল রাকিবুল ইসলাম ইমন।