সরেজমিনে জানা যায়, বর্তমানে বাজারে মোটা ধান সাড়ে ৫শ থেকে ৬শ এবং চিকন ধান সাড়ে ৬শ থেকে সাড়ে ৭শ টাকা মণ দরে কেনাবেচা হচ্ছে।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সত্যব্রত সাহা জানান, চলতি আমন মৌসুমে জেলায় এবার ৫ লাখ ৬ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
এবার আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৫ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। তবে আরও অতিরিক্ত ৭৫ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
নওগাঁ সদরের বোয়ালিয়া গ্রামের চাষি মহসিন আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এক বিঘা জমিতে রোপা মোটা আমন চাষে সার, কীটনাশকসহ খরচ হয় ছয় থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকা।
“ধান উৎপাদিত হয় ১০-১২ মণ। এ অবস্থায় প্রতি মণ ধান ৫-৬শ টাকা বিক্রি করে কিছুই থাকেনা।”
ধানের দাম মোটা ৭-৮শ টাকা ও চিকন এক হাজার বা ১২শ টাকা মণ নির্ধারনের দাবি করেন তিনি।
আত্রাইয়ের আমন চাষি মনির জানান, “লাভের আশায় এক বিঘা জমি ধান করেছিলাম, ফলন ভালো হলেও ধানের দাম তো নেই। এ ধান বিক্রি করে খরচ তুলে আনতে পারবো কিনা সে চিন্তাই আছি।”
কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয়ের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানান তিনি।
নওগাঁ জেলা চাউল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার জানান, গত বছরের ধান মজুদ রয়েছে অধিকাংশ মিলে তাই মালিকরা ধান কিনছেন না।
এ কারণে ধানের বাজার পড়ে যাওয়ায় কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলেও জানান তিনি।