পাশাপাশি প্রচার-প্রচারণাও চালিয়ে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচনে আগ্রহীদের মধ্যে রয়েছেন আবুল খায়ের পাটওয়ারী, রফিকুল আমিন কাজল, আ. রহমান বাবলু, লোকমান তালুকদার, মাহবুবুল বাশার কালু পাটওয়ারী, আবুল কাশেম, মোতাহার হোসেন রতন, মাহফুজুল হক শান্ত, মাসুদুর করিম ভূঁইয়া, কামরুল ইসলাম সউদ, মোফাজ্জল হোসেন খান মহসিন ও মো. ফয়েজ মিজি।
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন বর্তমান মেয়র মো. মঞ্জিল হোসেন, জয়নাল আবদীন, হারুন-অর-রশিদ, নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী, সফিকুল ইসলাম পাটওয়ারী, মজিবুর রহমান দুলাল ও আমানত গাজী।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল খায়ের পাটওয়ারী বলেন, “দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এখন দলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি।”
পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক মাহফুজুল হক শান্ত বলেন, “আমি বসে নেই, প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। দলীয়ভাবে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে নির্বাচন করব।”
বর্তমান মেয়র মো. মঞ্জিল হোসেন বলেন, “আমি গতবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে এলাকার উন্নয়নের চেষ্টা করেছি। এবারও নির্বাচন করব।”
কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করবেন বলে জানান জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আনোয়ার বাবলুও।
নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার থেকে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা যাবে। ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৫ ও ৬ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৩ ডিসেম্বর।
এদিকে পৌর এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ ১০ বছর অতিক্রম হলেও বিভিন্ন নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়ে গেছেন তারা।
পৌর এলাকার বাসিন্দা লিটন ও মাহফুজ বলেন, “রাস্তাঘাটের অবস্থা ভালো নয়। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলায় পৌরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।”
নাসির ও সোবহান বলেন, “প্রতিশ্রুতি নয়, আমরা সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকেই মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করব।”
১৯ দশমিক ৭৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ফরিদগঞ্জ পৌরসভার যাত্রা শুরু ২০০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ৪৫।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর এখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।