সাভারে পৌর নির্বাচনের হাওয়া

৩০ ডিসেম্বর পৌর নির্বাচন ঘোষণার পর রাজধানীর উপকণ্ঠে সাভার পৌরসভার সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা প্রচারণায় নেমেছে।

সেলিম আহমেদ সাভার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2015, 06:04 PM
Updated : 25 Nov 2015, 06:04 PM

চায়ের দোকান, হাট-বাজার,  ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সবখানে নির্বাচনে কে কে প্রার্থী হচ্ছেন সে আলোচনা জমে উঠেছে।

পৌর বিএনপির সভাপতি মো. রেফাত উল্লাহ পরপর দুবার মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন। রানা প্লাজা ধ্বসের পর ভবনের নকশা অনুমোদনের দায়ে তার বিরুদ্ধে মামলায় হয়। ওই মামলায় চার্জশিট দিলে তাকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। আদালতের মাধ্যমে কিছুদিন আগে তিনি ফের দায়িত্ব পান। তবে বর্তমানে তিনি একটি নাশকতার মামলায় কারাগারে রয়েছেন।

আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খান ইমু বলেন, “দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে অবশ্যই আমি এবার জয়ী হব।

“সাভারবাসী আমাকে বিগত দিনে অনেকবার ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছেন। আশা করি এবার আমাকে বঞ্চিত করবে না।”

এ দলের অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী সাভার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল গণি বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে দলের সকল কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছি, নেতাকর্মীদের সুখে-দুখে পাশে থেকেছি।”

“স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সব নেতাকর্মী আমার সঙ্গে রয়েছেন। আশা করি দল থেকে আমাকেই মনোনয়ন দেবে। মনোনয়ন পেলে অবশ্যই বিজয়ী হব।”  

ঢাকা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হতে পারেন বলে এলাকায় প্রচার রয়েছে।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন,  “বিএনপি এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কিনা তা নিয়ে আমাদের কাছে এখনও কোনো নির্দেশ আসেনি। নির্দেশনা এলে দলীয়ভাবে প্রার্থী চূড়ান্ত করব।

“কিন্তু বর্তমানে যে অবস্থা, এর মধ্যে নির্বাচন করা খুবই কঠিন। স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গাড়ি পোড়ানোসহ একাধিক নাশকতা মামলা থাকায় সব নেতাকর্মী বাড়িঘর ছাড়া।

“পুলিশ প্রতিদিনই নেতাকর্মীদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে।”

এছাড়া বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি থেকে দলের সাভার উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আজম খান বাবু এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাভার উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন খান নঈম নির্বাচন করতে পারেন বলে আলোচিত হচ্ছে।