নেত্রকোণা পৌরসভায় বরাবরই আওয়ামী লীগের নেতারা মেয়র পদে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। গত নির্বাচনে এই পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দল প্রার্থীও দিতে পারেনি। এবারও এখানে বিএনপি বা অন্য কোনো দলের সম্ভাব্য কোনো প্রার্থীর তৎপরতা নেই।
বর্তমান মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রশান্ত কুমার রায়, সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম খান, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের ছোট ভাই মাসুদ খান জনি (জনি খান) প্রার্থী হতে চান।
এছাড়া আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ফজলুর রহমান খানের মেয়ে, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবা রহমান খান শেফালী, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মতিয়র রহমান খানের মেয়ে ও মহিলা যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য অর্পিতা খানম সুমি এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান খান রতন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
তবে মেয়র প্রশান্ত কুমার রায় তার অনুসারী নেতাকর্মীদের নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে মদনপুরে শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমীর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন।
নাগড়া এলাকার ভোটার দিলীপ সাহা বলেন, “দলীয় মনোনয়নে এবার নির্বাচন হওয়ায় প্রার্থীরা বেশি ছুটাছুটি করছেন দলের নেতাদের পেছনে।
“প্রতিবার নির্বাচনে এখানে আওয়ামীলীগের তিন থেকে চারজন মেয়র প্রার্থী হন। অন্য দলের প্রার্থী না থাকলেও নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় নির্বাচন উৎসবের মেজাজে হয়।
“এবার আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হবে। এ কারণে ভোটারদের কাছে প্রার্থীরা এখনও তেমন দৌড়ঝাঁপ শুরু করেননি।”
একই রকম কথা বলেছেন আরো অনেক ভোটার।
সম্ভাব্য প্রার্থীরা জানান, দল যাকে মনোনয়ন দেবে তারা সবাই তা মেনে নেবেন।
মেয়র প্রশান্ত কুমার রায় এরই মাঝে শহরের ভোটারদের কাছে একটি লিফলেটে বিতরণ করেছেন। তাতে তিনি পাঁচ বছরে পৌরসভার উন্নয়ন যেমন তুলে ধরেছেন তেমনি আধুনিক পরিচ্ছন্ন শহর গড়ার ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথাও বলেছেন।
সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম খান বলেন, “শহরের বড় বড় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যা হয়েছে তা আমার হাতেই হয়েছে।”
আবার নির্বাচিত হতে পারলে এই উন্নয়নকে আরো এগিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
মন্ত্রীভ্রাতা মাসুদ খান জনি নেমেছেন পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে।
হাবিবা রহমান খানম নির্বাচিত হলে স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সুন্দর শহর গড়ায় আত্মনিয়োগ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
অর্পিতা খানম সুমির দাবি তার বাবাকে পৌরবাসী তিনবার নির্বাচিত করেছেন। সেই সময়ে খুব কাছ থেকে পৌরসভার উন্নয়নকে কীভাবে এগিয়ে নিতে হয় তা তিনি দেখেছেন।
নির্বাচিত হলে বাবার মতো তিনিও পৌরসভার উন্নয়ন কাজকে এগিয়ে নেয়ার প্রতিজ্ঞা থেকে প্রার্থী হয়েছেন বলে জানান সুমি।
মোহনগঞ্জ, মদন, কেন্দুয়া, দূর্গাপুর ও নেত্রকোণা পৌরসভায় আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।