আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে নৌকার জন্য দৌড়ঝাঁপ

গোপালগঞ্জে পৌরসভা নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

মনোজ সাহা গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2015, 02:47 PM
Updated : 26 Nov 2015, 06:02 PM

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ জেলা গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এ অঞ্চলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরাই জয়ী হয়ে আসছে।

গোপালগঞ্জ পৌরসভায় বর্তমানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র মো. রেজাউল হক সিকদার রাজু। বিগত বেশ কয়েক মেয়াদে এ পৌর সভায় আওয়ামী লীগ সমর্থিতরাই মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

এবারের সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা প্রচারণায়ও নেমেছেন। সম্ভাব্য মেয়র পদপ্রার্থীরা সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে এলাকায় শোডাউন করছেন।

আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক মো. রেজাউল হক সিকদার রাজু, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক এম বদরুল আলম বদর, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মুশফিকুর রহমান লিটন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত আলী লেকু, জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি জি এম সাহাবুদ্দিন আজম, সাধারণ সম্পাদক এম.বি সাঈফ বি মোল্লা, জেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বি এম আলম সিদ্দিকীর নাম শোনা যাচ্ছে।

এছাড়া জেলা বিএনপির সাংগঠনিক পদ থেকে সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকারী আছরারুল হক লিটু, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক কালাচাঁদ সাহা দলীয় মনোনয়ন পেতে তৎপরতা চালাচ্ছেন।

আওয়ামী যুবলীগ কর্মী শেখ মুরাদ হোসেন মেয়র পদে প্রার্থী হবেন বলে শোনা যাচ্ছে।

জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক কালাচাঁদ সাহা বলেন, “পৌর নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ কারণে গোপালগঞ্জে নির্বাচনের প্রেক্ষাপট পাল্টে গেছে।

“সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পেতে যারপর নাই চেষ্টা করছেন। কারণ গোপালগঞ্জে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীই বিজয়ী হবেন।

“গোপালগঞ্জে বিএনপি জামায়াতের কোন মেয়র প্রার্থীর নাম নাম শোনা যাচ্ছে না।

দলে কোন্দল না থাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খুব শক্ত অবস্থানে থাকবেন বলে মনে করছেন তিনি।

তিনি বলেন, “আমিও এ নির্বাচনে মেয়র পদে দলের মনোনয়ন চাইব। দল মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করব। মনোনয়ন না দিলে, দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে কাজ করব।”

গোপালগঞ্জ পৌরসভার ভোটার শাহাদৎ মিয়া, রুহুল আমীন, বাহার মিয়া, মনোয়ার হোসেন নৌকা মার্কার প্রার্থীকেই ভোট দেবেন বলে জানান।

‘বঙ্গবন্ধুর নৌকার প্রতি আমাদের দুর্বলতা রয়েছে।’

তাদের দাবি গোপালগঞ্জকে পরিচ্ছন্ন, মাদকমুক্ত ও অত্যাধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী হওয়ায় আওয়ামী লীগ কর্মী মোর্শেদ আলী, হেকমত ও আব্বাস উদ্দিন কাকে সমর্থন দেব তা বুঝে উঠতে পারছেন না।

মোর্শেদ বলেন, “আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য সব প্রার্থীই আমাদের নিয়ে টানা হেচড়া করছেন।”

দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত এ অবস্থা চলবে মনে করছেন তারা।

দলীয় মনোয়নের ব্যপারে এখনও কেন্দ্রের নির্দেশনা আসেনি বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রাজা মিয়া বাটু।

তিনি বলেন, “জেলা, উপজেলা না পৌর কমিটি প্রার্থী বাছাই করে মনোনয়ন দেবে তা আমার জানা নেই।

“কেন্দ্র থেকে যে  নির্দেশনা আসবে আমরা সেভাবেই কাজ করব।”

গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি এস এম জিলানী বলেন, “গোপালগঞ্জে আমার এখন দল গোছাতে ব্যস্ত।

“আসন্ন গোপালগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আমরা মেয়র প্রার্থী দিতে তৎপরতা শুরু করেছি। শেষ পর্যন্ত হয়তো আমাদের দল থেকে একজন মেয়র প্রার্থী দেয়া সম্ভব হতে পাবে।”