প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতীক পেতে মাঠে নেমেছেন কয়েকজন নেতা।
পৌর নির্বাচন নিয়ে দলীয় প্রস্তুতি ও মেয়র পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়ে জানতে চাইলে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান টুকু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাগেরহাটের তিনটি পৌরসভায় মেয়র পদে দলের একাধিক নেতা মাঠে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
“তবে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দাখিলের আগেই দল পৌরসভাগুলোতে একক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে।”
বাগেরহাট জেলা বিএনপি সভাপতি এম এ সালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পৌর নির্বাচনে অংশ নিতে দলের আগ্রহী প্রার্থীরা ইতিমধ্যে যোগাযোগ শুরু করেছেন।
“দল নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলে আমরা সব পৌরসভায় একক প্রার্থী দেব।”
পৌরসভাগুলোয় মাঠপর্যায়ে মেয়র পদে বিভিন্ন দলের বেশ কয়েকজন নেতার নাম আলোচিত হচ্ছে।
বাগেরহাট পৌরসভা
বিএনপির প্রার্থী হতে চাইছেন বর্তমান পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শেখ শাহেদ আলী রবি, জেলা বিএনপির ক্ষুদ্র কুটির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক একাধিকবার নির্বাচিত প্রয়াত পৌরসভার চেয়ারম্যান আতাহার হোসেন আবু মিয়ার ছোট ছেলে সাঈদ নিয়াজ হোসেন শৈবাল।
১৯৫৮ সলের পহেলা এপ্রিল যাত্রা শুরু করা বাগেরহাট পৌরসভা বর্তমানে প্রথম শ্রেণির মর্যাদার। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ১৩ দশমিক ৭৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের বাগেরহাট পৌরসভার ভোটার সংখ্যা ৩৫ হাজার ৭৮৭ জন। এর ১৭ হাজার ৬৫৪ জন পুরুষ এবং ১৮ হাজার ১৩৩ জন নারী।
মংলা পোর্ট পৌরসভা
মংলা পোর্ট পৌরসভায় বিএনপির সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি সহসভাপতি মোল্যা আব্দুল জলিল।
এই দুই দল ছাড়াও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পর্টি (সিপিবি) এবং জাতীয় পার্টি (জেপি) থেকে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগ্রহী দুজন। সিপিবির জেলা কমিটির সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুর আলম শেখ এবং জাতীয় পার্টি জেপির (মঞ্জু) নেতা ও মংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এইচ এম দুলাল।
১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মংলা পোর্ট পৌরসভা সম্প্রতি প্রথম শ্রেণির পৌরসভার মর্যাদা পেয়েছে। ১৯ দশমিক ৪৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মংলা পৌর্ট পৌরসভা ওয়ার্ড ৯টি। মংলা পৌরভার মোট ভোটার ২৭ হাজার ৯৪৯ জন। যার ১৫ হাজার ২০ জন পুরুষ ও ১২ হাজার ৯২৯ জন নারী ভোটার।
মোরেলগঞ্জ পৌরসভা
অন্যদিকে বিএনপি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ জব্বার, থানা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হক বাবুল ও বিএনপি নেতা মো. ওয়ালিউর রহমান পল্টুর নাম শোনা যাচ্ছে।
এছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও উপজেলা আহ্বায়ক সোমনাথ দে মনোনয়ন প্রত্যাশী।
১৯৮৮ সালের ৫ অগাস্ট যাত্রা শুরু করা মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ওয়ার্ড সংখ্যা ৯টি। দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভাটির আয়তন ৬ বর্গ কিলোমিটার। মোরেলগঞ্জে মোট ভোটার ১৪ হাজার ৩৪৫ জন। যার মধ্যে ৭ হাজার ৪৬৩ জন পুরুষ এবং ৬ হাজার ৮৮২ জন নারী ভোটার।