মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসলাম বেবীকে এবার প্রার্থী করার ঘোষণা দিয়েছে দলের জেলা কমিটি।
তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাহাদুর ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন বলে জানিয়েছেন তারা।
জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসলাম বেবী বলেন, “বান্দরবানের ভোটার উন্নয়নমুখী রাজনীতি বিশ্বাস করে। বাংলাদেশের মাটিতে কোন জঙ্গীবাদী রাজনৈতিক দলের জায়গা হবে না।
“জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে মুক্তিযোদ্ধার চেতনায় রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক নৌকায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে ভোটাররা।”
এদিকে, বান্দরবান পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের মেয়র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পেতে বিএনপির তিন নেতার আগ্রহের খবর পাওয়া গেছে। এরা হলেন বর্তমান পৌর মেয়র জাবেদ রেজা, পৌর বিএনপির সভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী ও কৃষক দলের জেলা সভাপতি ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. ইসলাম কোম্পানী।
জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো.ওসমান গণি বলেন, ‘তিনজনের মধ্য থেকে মেয়র প্রার্থী বাছাই করা হতে পারে।
‘কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছ থেকে সংকেত পেলে বোর্ড গঠনের মাধ্যমে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে একক প্রার্থী মনোনীত করা হবে।’
বর্তমান মেয়র জাবেদ রেজা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তিনি নির্বাচন করবেন কিনা নিশ্চিত নন।
অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দলের মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
জাতীয় পার্টি বান্দরবানের সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমান বিপ্লবকে প্রার্থী করছে বলে জানিয়েছেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ক্যসুইঅং মারমা।
ভোটারদের মন জয়ে প্রাথমিকভাবে মাঠে নেমেছে দলটির নেতাকর্মীরা।
দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার পর জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে পৌর কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
এছাড়া আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) থেকে জলিমং মারমা প্রার্থী হতে পারেন বলে দলের কয়েকজন নেতাকর্মী জানিয়েছেন।
দলেও কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত পেলে জলিমং মারমাকে পৌর মেয়র পদে মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনসংহতি সমিতির বান্দরবান জেলার সভাপতি উছোমং মারমা।
অন্যদিকে, বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুচিত্রা তঞ্চঙ্গ্যার নামও শোনা যাচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে।
১৯৮৪ সালে সৃষ্টি হয় বান্দরবান পৌর সভা। ২০০১ সালে পৌরসভাটি উন্নীত করা হয় ‘ক’শ্রেণিতে। এই পৌরসভায় রয়েছে ২৬ হাজার ভোটার।