ঘটনাটি ডাসার থানায় মৌখিকভাবে জানানো হলেও এখনও মামলা হয়নি। এছাড়া পরিবারটিকে দুর্বৃত্তরা হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন স্বজনরা।
কালকিনির উপজেলা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে ডাসার থানা এলাকায় শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণের শিকার মেয়েদের স্বজন ও এলাকাবাসী জানান, ওই দিনমজুর একটি ছাপড়া ঘরে স্ত্রী ও তিন মেয়ে নিয়ে থাকেন। কয়েকদিন আগে তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন ওই দিন মজুরের এক শ্যালিকা।
পরিবারের সদস্যরা জানান, শুক্রবার গভীর রাতে ৭ থেকে ১০ জন যুবক তাদের ঘরে ঢুকে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার লুটে নেয়।
এরপর তারা ওই দিনমজুরের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া বড় মেয়ে (১২) ও শ্যালিকাকে (২৪) ঘরের বাইরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে বলে জানান তারা।
স্বজনদের অভিযোগ, তারা বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্যদের জানালেও কোনো কাজ হয়নি। পরে ডাসার থানায় মৌখিখভাবে জানান।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. অখিল সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঘটনার দুদিন পরে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মেয়ে দুটিকে।
“প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ল্যাবটারিতে পাঠানো হয়েছে।”
এ ব্যাপারে ডাসার থানার ওসি এমদাদ হক বলেন, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। নিজে ওই গ্রামে যাবেন। তারপর এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন।
মাদারীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ডাসার থানা পুলিশ বিষয়টি প্রথমে গুরুত্ব না নিলেও পুলিশ সুপারের নির্দেশে এখন মামলা নেওয়া হবে।
সরেজমিনে আকছেদ দর্জির বাড়ির কাউকে পাওয়া যায়নি। ওই বাড়িতে এখন কেউ নেই।