মঙ্গলবার রাঙ্গামাটিতে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী প্রথম পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী হেডম্যান-কারবারী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই অভিযোগ করেন।
পাহাড়িদের এই নেতা বলেন, দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফলে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তির আলোকে বিশেষ শাসনব্যবস্থার জন্য আইন প্রণীত হলেও সেই আইন অকার্যকর অবস্থায় রাখা হয়েছে।
“১৯০০ সালের শাসনবিধি দিয়ে পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা ঔপনিবেশিক কায়দায় শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করে যাচ্ছেন।”
‘পার্বত্যাঞ্চলে আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার, রাজনৈতিক ও শাসনতান্ত্রিক অধিকার পেতে হলে সম্পাদিত চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই’ মন্তব্য করে সন্তু লারমা বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নে নারীসমাজ তথা নারী হেডম্যান ও কারবারীদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন-সংগ্রামে যুক্ত হতে হবে।
রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের উদ্যোগে আয়োজিত সম্মেলন উদ্বোধন করেন চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়।
সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সভাপতি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, বরকল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনি চাকমা, এএলআরডির উপপরিচালক রওশন জাহান মনি ও ইউএনডিপি-সিএইচডিএফের উপপরিচালক প্রসেনজিৎ চাকমা।
স্বাগত বক্তব্য দেন নারী হেডম্যান শান্তনা চাকমা।
এর আগে মঙ্গলপ্রদীপ জ্বেলে দুদিনব্যাপী সম্মেলন উদ্বোধন করেন চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়।
সম্মেলনে তিন পার্বত্য জেলা থেকে চাকমা সার্কেলের ১২ জন নারী হেডম্যানসহ ১৪৭ নারী কারবারী এবং পর্যবেক্ষক হিসেবে তিন পার্বত্য জেলার দুই শতাধিক পুরুষ হেডম্যান (মৌজাপ্রধান) ও কারবারী (গ্রামপ্রধান) অংশ নেন।