সূর্যদী গণহত্যা দিবস পালিত

দোয়া ও আলোচনায় শেরপুরের সূর্যদী গণহত্যা দিবস পালন করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা। 

শেরপুর প্রতিনিধিআবদুর রহিম বাদলবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2015, 06:55 AM
Updated : 24 Nov 2015, 06:55 AM

মুক্তিযুদ্ধের শেষদিকে ২৪ নভেম্বর শেরপুর সদরের কামারিয়া ইউনিয়নের সূর্যদী গ্রামে পাক হানাদারদের হামলায় ৩৯ জন শহীদ হন। 

স্থানীয়ভাবে এখানে স্মৃতিফলক নির্মিত হলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদদের কবরগুলো চিহ্নিত কিংবা কোনো স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়নি।

স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরও এ ব্যাপারে কোনো রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা। 

একাত্তরের ২৪ নভেম্বর সূর্যদী গ্রামে স্বজন হারানো কয়েজন

জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু সালেহ মো. নুরুল ইসলাম হিরু জানান, শহীদ আইজউদ্দিন ফাউন্ডেশন ও প্রজন্ম একাত্তরের আয়োজনে সকাল ১০টায় শহীদ আইজউদ্দিন মাদ্রাসা প্রঙ্গণে মিলাদ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এছাড়া বিকালে এ আহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে দোয়া ও আলোচনা সভা হবে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক ও মমতাজ উদ্দিন জানান, শেরপুর জেলা সদর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরের সূর্যদী গ্রামে একাত্তরে নভেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে রাজাকার ও পাক হানাদারদের গতিবিধি লক্ষ্য করতে একদল মুক্তিযোদ্ধা এখানে আসেন।

কিন্তু স্থানীয় আলবদর বাহিনীর সদস্য ইয়াদ আলী খাঁ, জিয়ারত আলী খাঁ ও আব্দুর রশীদ গংদের মাধ্যমে ওই পেয়ে যায় পাকবাহিনী।

এরপর রাজাকার ও আলবদরদের নিয়ে হানাদার বাহিনী ২৪ নভেম্বর গ্রামটিতে হামলা চালিয়ে ৩৯ জনকে হত্যা করে বলে জানান তারা।

মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু সালেহ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের এসব শহীদদের স্মরণে সূর্যদী গ্রামে এলাকাবাসীরা একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করলেও অযত্নে অবহেলায় তা আজ ধ্বংসের মুখে।

“মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যক্তিগত উদ্যেগে শহীদ আফসার মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হলেও সরকারিভাবে এখানে কোনো স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়নি। ”

একাত্তরের ২৪ নভেম্বর স্বজন হারানো কয়েজন হলেন জড়িতন বেওয়া, রশিতন বেওয়া ও রাশেদা বেগম।

ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত জিয়ারত আলী খাঁ ও আব্দুর রশীদ এখনও জীবিত বলে জানান শহীদদের এ স্বজনরা।

যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের মতো তাদেরও বিচার দাবি করেন তারা।   

একই সঙ্গে এলাকার গণকবরগুলো চিহ্নিত করাসহ সূর্যদী এলাকায় সরকারিভাবে শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নিমার্ণেরও দাবি জানিয়েছেন শহীদ পরিবারের সদস্য জুলহাস আলী ও আফছার উদ্দিন।