সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. ইসরাইল হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকালে বামনজল এলাকার ভাড়া বাসায় তাদের লাশ পাওয়া যায়।
কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা জানাতে পারেনি পুলিশ।
মৃতরা হলেন কনস্টেবল পরিমল চন্দের স্ত্রী কৃষ্ণা রানী চন্দ (২৬) ও তার দেড় বছর মেয়ে অর্পিতা রানী চন্দ।
ঠাকুরগাঁওয়ের আকাশীল গ্রামের অক্ষয় কুমার চন্দের ছেলে পরিমল চন্দ্ সুন্দরগঞ্জ থানায় কর্মরত ছিলেন। বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন উপজেলার বামনজল এলাকায়।
তার স্ত্রী কৃষ্ণা ঠাকুরগাঁও সদরের কালিকাগাঁও এলাকার নলিনী কান্ত রায়ের মেয়ে।
ওসি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোমবার রাতে স্ত্রী ও তার মেয়েসহ ঘুমিয়ে পড়েন পরিমল।
“মঙ্গলবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে পরিমল বিছানায় মেয়ের মৃতদেহ দেখতে পান। ওই সময় স্ত্রীকে না দেখে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রান্নাঘরে তার ঝুলন্ত লাশ পান।”
এরপর পরিমল থানায় খবর দেন বলে জানান ওসি।
মৃতদেহ দুইটিতে জখমের কোন চিহ্ন নেই। এ ঘটনায় পরিমল বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন বলে জানান ওসি ইসরাইল।
পরিমল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সম্প্রতি তাদের মধ্যে কোনো ঝগড়া বিবাদ হয়নি।
“কী কারণে এ ঘটনা ঘটলো বিষয়টি আমিও অনুমান করতে পারছি না।”
বিষয়টির তদন্ত শুরু হচ্ছে বলে জানান গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল ইসলাম।