পঞ্চগড় ছেড়ে ৩০ জনের ভারতে যাওয়া পেছাল

জমি বিক্রির টাকা না পাওয়ায় পঞ্চগড়ের তিন পরিবারের ৩০ সদস্য নির্ধারিত দিনে ভারতে যাননি বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

পঞ্চগড় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Nov 2015, 05:51 PM
Updated : 23 Nov 2015, 05:51 PM

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শেষ মুহূর্তে এসে তিনটি পরিবার তাদের সমস্যার কথা বলেছে।

“তবে এই পরিবারগুলোর ৩০ সদস্য ২৬ নভেম্বর যাবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।”

সোমবার যাদের যাওয়ার কথা ছিল তাদের মধ্যে অন্য ২৮ পরিবারের ১৪৭ সদস্য বিকেলে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি-ডাঙ্গাপাড়া সীমান্ত পথে ভারতে যান।

পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম আজম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দেবীগঞ্জের গাজোকাটি বাজার মাঠের অস্থায়ী ক্যাম্পে সকাল সাড়ে ৯টায় সবাই জড় হন।

“এ সময় সেখানে ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণকারী ১৪৭ জনকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় হাইকমিশনের প্রথম সেক্রেটারি রমাকান্ত গুপ্তার কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।”

পরে চারটি মিনিবাসে করে তারা গন্তব্যের দিকে রওনা হন। এছাড়া সাতটি ট্রাকে তাদের আসবাবপত্র ও গৃহস্থালির মালপত্র যায়।

তাদের মধ্যে দেবীগঞ্জের বিলুপ্ত ছিটমহল কোটভাজনীর ২৭টি পরিবারের এক নবজাতকসহ ১৪২ জন ও বালাপাড়া খাগড়াবাড়ির একটি পরিবারের পাঁচজন রয়েছেন।

নীলফামারীর ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিয়া সুলতানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুপুরে তারা উপজেলার আব্দুর রউফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পৌঁছান।

সেখানে ইমিগ্রেশনসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। তারপর ভারতের কুচবিহার জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আয়শা রানী ও ৫৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ডেপুটি কমান্ড্যান্ট এ কে ঝাঁ তাদের বুঝে নেন।

ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের চিলাহাটী সীমান্তের ডাঙ্গাপাড়া হয়ে ভারতের কুচবিহার জেলার হলদিবাড়ি-খালপাড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পৌঁছালে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে ও মিষ্টি খাইয়ে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে তাদের বরণ করে নেওয়া হয়।

এই ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণকারী সবাই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর তাদেরকে ভারতে যাওয়ার অনুমোদনপত্র দেওয়া হয়।