সোমবার সকাল থেকে গাজীপুর জেলা প্রশাসন এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে।
শ্রীপুর থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটারের এবং শ্রীপুর উপজেলার ধনুয়া থেকে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর উপজেলার এলেঙ্গা পর্যন্ত ৫২ কিলোমিটারের দুটি গ্যাস লাইন সম্প্রসারণ প্রকল্পের নকশার ওপর হালকা এসব স্থাপনা নির্মাণ করে একটি চক্র।
শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুম রেজা জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে গ্যাস সম্প্রসারণ লাইনের নকশার উপর নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এসএম মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গাজীপুর থেকে টাঙ্গাইলের গ্যাস পাইপ লাইন সম্প্রসারণ প্রকল্পে গাজীপুরের অংশে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে।
“প্রকল্পের গ্যাস লাইন চিহ্নিত করার পর থেকেই এ অবৈধ স্থাপনাগুলো নির্মাণ শুরু হয়। ব্যক্তিগত অথবা সংঘবদ্ধভাবে আবাদি জমিতেও এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়।“
এসব স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সহ-সম্পাদক হারুন অর-অর রশীদ ফরিদ।
ওই আবেদনে গত ১৮ মে গাজীপুর ও টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসককে (ডিসি) অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং স্থাপনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
প্রতিবদেন জমা না দেয়ায় আদালত অবমাননার অভিযোগে গত ১৫ নভেম্বর দুই জেলা প্রশাসককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় হাই কোর্ট।