চাঁদাবাজি মামলায় নূর হোসেনের হাজিরা

চাঁদাবাজির এক মামলায় আদালতে হাজিরা শেষে নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Nov 2015, 08:23 AM
Updated : 23 Nov 2015, 08:23 AM

সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সাঈদুজ্জামান শরীফের আদালতে তাকে হাজির করা হয়।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওই চাঁদাবাজির মামলায় শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ভারত থেকে ফেরত আনার পর সাত খুন মামলায় অভিযুক্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক এই কাউন্সিলরকে কাশিমপুর কারাগারে রাখা হয়। সকালে সেখান থেকেই তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কেএম ফজলুর রহমান জানান, দেশে ফেরত আনার পর সাত খুনের ঘটনার দুই মামলাসহ মোট ১৩টি মামলায় নূর হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এর মধ্যে আকরাম হোসেন নামে আদমজী ইপিজেডের একটি প্যাকেজিং কারখানার মালিক ২০১৪ সালের ২৭ মে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় চাঁদাবাজির মামলাটি দায়ের করেন।  এতে নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল।

মামলায় বলা হয়, ২০১৩ সালের ২৫ মে আকরাম হোসেনের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদাবাজি দাবি করেন নূর হোসেন ও তার সহযোগীরা। ভয়ে ওই সময় তিনি মামলা করেননি। পরে সাত খুনের ঘটনায় নূর হোসেন ভারত পালিয়ে গেলে আকরাম এই মামলা করেন।

পরবর্তীতে মামলা তদন্ত কর্মকর্তা নূর হোসেনসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডের ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়।

হত্যাকাণ্ডের প্রায় এক বছর পর গত ৮ এপ্রিল নূর হোসেন এবং র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেন নূর হোসেন। এক পর্যায়ে নিরুদ্দেশ হন সিদ্ধিরগঞ্জ আওয়ামী লীগের এই নেতা।

২০১৪ সালের ১৪ জুন কলকাতায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর এই বছরের ১২ নভেম্বর তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।