রোববার সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশিদের আদালতে ছয় সাক্ষীর সাক্ষগ্রহণ করা হয় বলে জানিয়েছেন আদালতে বিশেষ পিপি আব্দুল মালেক।
এরা হলেন, আবু সাঈদের মা সালেহা বেগম, মামা জয়নাল আবেদীন, হিলাল আহমদ, বিমান বন্দর থানার ওসি গৌছুল হোসেন, এসআই সম্রাট মিয়া ও কনস্টেবল আবুল কাশেম।
সোমবার মামলার পরবর্তী সাক্ষগ্রহণের দিন ঠিক করেছেন আদালত। এ মামলায় ৩৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার শুরু হয় এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ।
গত মঙ্গলবার একই আদালতে মামলার চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এরা হলেন, সিলেটের বিমানবন্দর থানার সাবেক কনস্টেবল এবাদুর রহমান, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব ও পুলিশের কথিত ‘সোর্স’ আতাউর রহমান গেদা ও মাহিব হোসেন মাসুম।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ১১ মার্চ নগরীর শাহ মীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আবু সাঈদ অপহৃত হয়। পরে অপহরণকারীরা তার পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
ঘটনার তিনদিন পর নগরীর ঝর্ণার পাড় সুনাতলা এলাকার একটি বাসা থেকে সাঈদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
১৫ মার্চ নিহতের বাবা আব্দুল মতিন কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
মামলার সব আসামি কারাগারে।