চিকিৎসা শেষে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে রোববার রাত আড়াইটার দিকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাঁশদহ গ্রামে নানা বাড়ি পৌঁছায় তারা।
বাবা রাজু মিয়া, মা শাহিদা বেগমের সঙ্গে নানা শহিদুল ইসলামের কোলে চড়ে বাড়ি ফেলে তারা। জোড়া লাগা জমজ শিশু তোফা ও তহুরার বাড়ি ফেরার খবরে তাদেরকে একনজরে দেখার জন্য সোমবার সকাল থেকে তাদের নানার বাড়িতে ভিড় জমান প্রতিবেশীরা।
গত ১ অগাস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর দুই বোনকে আলাদা করেন চিকিৎসকরা।
অস্ত্রোপচারের পর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের পাশের একটি কক্ষে প্রায় ২০ দিন রাখা হয় তোফা ও তহুরাকে। সে সময় সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে তাদের সম্পূর্ণ আলাদা কক্ষে রাখা হয়। তারপর তৃতীয় তলার একটি কেবিনে রাখা হয় তাদের।
তাদের মা শাহিদা বেগম বলেন, “বাড়ি ফেরার পর থেকে তোফা-তহুরা ভালো আছে। হাসপাতালের এসি রুমে থাকায় বাড়ি ফিরে গরম অনুভব হওয়ায় মাঝে মাঝে কান্না করছে।”
তবে বাড়ির খোলামেলা পরিবেশে দুইজনে বেশ উৎফুল্ল বলে জানান তিনি।