বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের এক সবুজ চত্বরে জমে উঠেছিল এই আনন্দ মেলা৷ ৪০টিরও বেশি দেশের ছাত্র-ছাত্রীরা নিজ নিজ দেশের রকমারি দ্রব্য, মুখরোচক খাদ্য ও তথ্য নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন৷ গান বাজনায় মেতে উঠেছিল উৎসব চত্বর৷
বেশ কয়েক বছর ধরেই আয়োজন করা হচ্ছে এই উৎসবের৷ এতে প্রথমবারের মত যোগ দিলেন বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা৷
২০০৩ সালে ডুইসবুর্গ ও এসেন শহরের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় একীভূত হয়ে নব উদ্যোমে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি৷ প্রায় ১৩০ দেশের ৪০ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে ডুইসবুর্গ-এসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। জার্মানিতে ছাত্র সংখ্যার দিক দিয়ে প্রথম ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম এটি৷ শিক্ষার্থীদের প্রায় ১৬ শতাংশই বিদেশি।
২০০৯ সালে ‘চার্টার ডাইভার্সিটি’ সনদপত্রে স্বাক্ষরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে ডুইসবুর্গ-এসেন ছিল অগ্রগামী৷ এরপর থেকে আন্তর্জাতিক ও আন্তঃসাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড তথা উৎসব আয়োজনের উপর আরও জোর দেওয়া হয়৷
কয়েক বছর আগেও ডুইসবুর্গ-এসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল হাতে গোনা৷ এখন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। আর এ কারণেই এবার বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরাও এই সামার ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করতে উদ্যোগী হয়ে ওঠে৷
আগতদের আপ্যায়ন করা হয় বাংলাদেশি চা দিয়ে৷
বাংলাদেশি স্টলের মেহেদির নকশা তো রীতিমত সাড়া ফেলে দেয়৷ বেশ ভিড় জমে যায় সেখানে৷ হাতে সুন্দর কারুকার্য পেতে অনেকেই আগ্রহী হয়ে ওঠে৷ হাত বাড়িয়ে দেয় ‘শিল্পী’র দিকে৷
বাংলাদেশের অনুষ্ঠান দিয়ে স্টেজ পরিবেশনা শুরু হয়৷ লোক সংগীত, জার্মান র্যাপ গান এবং নৃত্যের তালে তালে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে অনুষ্ঠান৷
সামনের বার হয়তো এই পুরস্কার তাদের জুটবে বলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আশা। এবারও তো কম সাড়া পায়নি তারা৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক অফিসের সমন্বয়কারী ব্যারবেল এঙ্গার বাংলাদেশের বর্ণ বৈচিত্র্যময় স্টল দেখেন, তিন প্লেট পায়েস ও ঝালমুড়ি খেয়ে বাংলাদেশে বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন৷
প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা এখন থেকে সরাসরি আমাদেরকে জানাতে পারেন। পুরো নাম, ঠিকানা ও ছবিসহ লেখা পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায় probash@bdnews24.com