যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলো ‘লোকসানের ঝুঁকিতে’

বছরের শুরুতে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতায় যাত্রী কমে যাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলোকে।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 May 2015, 11:45 AM
Updated : 3 May 2015, 11:45 AM

ট্র্যাভেল এজেন্টরা বলছেন, তাদের ব্যবসা অনেকখানি নির্ভর করে প্রবাসী ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকদের ওপর। প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে গ্রীষ্মকালীন ছুটিসহ অন্য সময়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা পরিবারের সঙ্গে সময় ছুটি কাটাতে দেশে ফেরেন।

কিন্তু এ বছর ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত টানা তিন মাসে বাংলাদেশে হরতাল- অবরোধের মধ্যে নাশকতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী অনেকেই দেশে আসার পরিকল্পনা স্থগিত করেন। ফলে যাত্রী সংকটে পড়ে বাংলাদেশি ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলো।

নর্থ আমেরিকা ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নাটাব)-এর প্রেসিডেন্ট নাজমুল হুদা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জানুয়ারি থেকে অবরোধ-হরতালে পেট্রোল বোমায় নিরীহ মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় প্রবাসীরা সন্ত্রস্ত হয়ে উঠেছিলেন। এ অবস্থা চলতে থাকায় অনেকে টিকিট বুকিং দেননি।

“সম্প্রতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের কারণে হরতাল-অবরোধ উঠে গেলেও প্রবাসীদের শঙ্কা কাটেনি; এ কারণে নতুন করে কেউ টিকিট বুক করছেন না।”

বাংলাদেশি মালিকানাধীন এসব ট্র্যাভেল এজেন্সির মধ্যে রয়েছে নিউ ইয়র্কভিত্তিক ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ট্র্যাভেলস’, ভার্জিনিয়া ভিত্তিক ‘গো ঢাকা’সহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এবার তাদের যাত্রী কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ।এর আগে এমন সঙ্কেটে তাদের পড়তে হয়নি।

জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের স্কুল-কলেজে গ্রীষ্মকালীন ছুটি থাকে। প্রতি বছর এ সময়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকে দেশে বেড়াতে যান। কিন্তু এবার ‘ঝুঁকি নিয়ে’ দেশে না গিয়ে তাদের বড় একটি অংশ কানাডা ও ইউরোপ কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছেন বলে ট্র্যাভেল এজেন্টরা জানান।

‘গো ঢাকা’র মার্কেটিং ও হিসাব-রক্ষণ কর্মকর্তা পারভেজ কামাল শুভ্র বলেন, “প্রতিবছরই গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি সন্তানসহ বাংলাদেশে বেড়াতে যান। এবার সে আগ্রহে ভাটা পড়েছে।

“অনেকেই বাংলাদেশে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ঘটনায় ভীষণ দুশ্চিন্তায় ছিলেন। এমন ঝুঁকিতে সন্তান নিয়ে কেউ অবকাশ যাপনে আগ্রহী নন।”