সৌদিতে বাংলাদেশিসহ চারজনকে হত্যায় দুই পাকিস্তানি গ্রেপ্তার

সৌদি আরবে দুই বাংলাদেশিসহ চারজনকে হত্যায় দুই পাকিস্তানিকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির গোয়েন্দা ও তদন্ত দপ্তরের কর্মকর্তারা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 March 2015, 06:15 AM
Updated : 3 March 2015, 07:00 AM

সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- আসাদ জান (২৪) ও আদম খান (২২)।

গ্রেপ্তারের পর তারা দুজনই হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে সোমবার প্রকাশিত সৌদি গেজেটের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ঘাতকদের একজনের সাবেক প্রেমিকা এক শ্রীলঙ্কান নারীর সঙ্গে সম্পর্কের জন্য এক ভারতীয়কে ভুলিয়েভালিয়ে মরু এলাকায় নিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন বলে তারা জানিয়েছেন।

হত্যার পর তারা ওই ভারতীয়ের মরদেহ একটি কম্বলে মুড়িয়ে একটি ওয়ারহাউজের পিছনে মাটিতে পুঁতে ফেলেন। নিহত ব্যক্তি যে গাড়িতে এসেছিলেন সেই গাড়িটি নিয়ে তারা অন্য জেলা আল-ফাতাহর একটি বিপণীবিতানের পিছনে রাখেন।

এই হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ পর আরেক পাকিস্তানির কাছ থেকে গাঁজা কেনার টাকার প্রয়োজন পড়ে ঘাতকদের।

এরপর ত্রিশের কোঠায় বয়সী এক বাংলাদেশি ট্যাক্সিচালককে ভাড়া করে আল-সাহাফা জেলায় নিয়ে যান তারা। সেখানে পৌঁছানোর পর একজন তার গলা টিপে ধরেন এবং অন্যজন পকেট থেকে ছুরি বের করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন।

ওই বাংলাদেশিকে হত্যার পর তার কাছে থাকা টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে নেন তারা। এরপর আগের হত্যাকাণ্ডের পর নেওয়া গাড়ি, যেটা একটি বিপণীবিতানের পিছনে রাখা হয়েছিল তাতে তার মরদেহ রাখেন দুই খুনি।

এরপর একইভাবে আরেক ভারতীয়কে হত্যার পর আল-আরিদ জেলায় কাঠের স্তূপের নিচে তার মরদেহ লুকিয়ে রাখেন তারা। এ সময়ও ওই ভারতীয়ের গাড়ি নিয়ে তাতে অন্য একটি লাইসেন্স প্লেট লাগান দুই ঘাতক।

একইভাবে চতুর্থ ব্যক্তিকে হত্যা করেন তারা। এবার তাদের শিকার হন চল্লিশের কোঠায় বয়সী এক বাংলাদেশি ট্যাক্সিচালক। তার মরদেহ আল-আরিদ জেলায় মাটিতে পুঁতে রাখা হয়।

গোয়েন্দা ও তদন্ত দপ্তরের কর্মকর্তারা সবগুলো লাশ ও গাড়ি উদ্ধার করেছেন।

এসব ঘটনার আগেও গাঁজার টাকা সংগ্রহে একটি গাড়ি চুরি করে তার ইঞ্জিন ও যন্ত্রাংশ আলাদা আলাদা বিক্রির কথা দুই পাকিস্তানি স্বীকার করেছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

আল-ফাতাহ জেলায় ওই বিপণীবিতানের পিছনে একটি গাড়ি থেকে দুর্গন্ধ আসার পর সেখানে মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ গাড়ি থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করে, যার পেট ও হাতে পাঁচটি কোপের চিহ্ন ছিল।

গাড়িটি চুরি হওয়ার বিষয়টি বোঝার পর মামলাটি গোয়েন্দা ও তদন্ত দপ্তরে পাঠায় পুলিশ।