স্থানীয় সময় শনিবার ‘আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব’ ইস্ট রিভারে একটি জাহাজে এ নৌ-ভ্রমণের আয়োজন করে।
এ নৌ-ভ্রমণে সকলকে স্বাগত জানান আয়োজক সংগঠনের সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম ও যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ রিজু।
‘টেকসই উন্নয়নে ডিজিটাল বাংলাদেশের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারেরো আয়োজন করে ‘আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব’।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার। নাজনীন মুন্নির উপস্থাপনায় সেমিনারের মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এ২আই’ প্রোগ্রামের পলিসি অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরী।
এসডিজি সম্পর্কিত প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ বলেন, “ইন্টারনেট সার্ভিসের ব্যাপক প্রসার ঘটায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের সমস্যাগুলোও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে আনা সহজ হচ্ছে। এর ফলে দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যার সমাধানও দ্রুত হচ্ছে।”
এসডিজির বাস্তবায়নে সম্মিলিত উদ্যোগের বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে এ মোমেন।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, “সাত মাস আগে সকল টেলিফোনের জন্যে ‘ভয়েস মেইল’ সিস্টেম চালু করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত আশানুরূপ গ্রাহক মেলেনি। প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি স্বজনদের গ্রাহক হতে উদ্বুদ্ধ করার জন্যে। তাহলে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে।”
রাটগার্স ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক মাহমুদ হাসান বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সকলকে কাজ করে যেতে বলেন।
‘পিপল এনটেক’-এর সিইও আবু হানিফ বলেন, “প্রকল্প বাস্তবায়নকালে কিংবা সমাপ্তির পরই বন্যায় ভেসে যাচ্ছে অথবা ক্ষতিগ্রস্ত। এ চিত্র প্রায় প্রতি বছরের। তাই টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের আগে বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা বিবেচনায় রাখা জরুরী।”
প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে আরও বেশি কাজ করার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক অবকাঠামোগত উন্নয়নে স্বচ্ছতার প্রশ্নে তথ্য-প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটানোর গুরুত্ব তুলে ধরেন যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক কাদের মিয়া।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় হুইপ সেলিম উদ্দিন এমপি ও এফবিসিসিআই’র ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম।
অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনায় সহায়তায় ছিলেন প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মীর-ই ওয়াজিদ শিবলী, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ আহমেদ, প্রধান সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান, ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ রিজু, কোষাধ্যক্ষ আবুল কাশেম, নির্বাহী সদস্য নিহার সিদ্দিকী, কানু দত্ত ও আজিমউদ্দিন অভি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর পরিচালক রেজাউল করিম রেজনু, প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুন অর রশীদ, ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম, নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, বাংলাদেশ ল’ সোসাইটির সভাপতি মোর্শেদা জামান ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান।
আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, প্রেসক্লাবের নির্বাচন কমিশনার আকবর হায়দার কিরণ, শিল্পকলা একাডেমির মণিকা রায়, কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায় ও শহীদ হাসান, চলচ্চিত্র পরিচালক আবুল বাশার চুন্নু, এপেক্স ক্লাব অব নিউ ইয়র্কের মোহাম্মদ জাহাঙ্গির, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক সাখাওয়াত বিশ্বাস, জামালপুর জেলা সমিতির সাবেক সভাপতি সালেহ শফিক গেন্দা, কক্সবাজার অ্যাসোসিয়েশনের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এবং সাবেক সভাপতি আল জুবায়ের মানিক।
অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন শাহ মাহবুব, প্রমিতা খান প্রমি ও রায়ান।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |