আটলান্টায় ‘এম অ্যান্ড জে ফাউন্ডেশনে’র সিনিয়র সেন্টারের উদ্বোধন

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া রাজ্যের প্রবীণ নাগরিকদের জন্যে এমএন্ডজে ফাউন্ডেশনের নব নির্মিত প্রকল্প ‘সিনিয়রস কেয়ার কানেকশন’এর উদ্বোধন হয়েছে।

রুমী কবির, আটলান্টা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Sept 2017, 12:38 PM
Updated : 22 Sept 2017, 02:28 PM

১৬ সেপ্টেম্বর জর্জিয়ার নরক্রস শহরের ইন্টারন্যাশনাল বুলোবার্ডে অবস্থিত আমেরিকান এই প্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন এম অ্যান্ড জে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান বাংলাদেশি জামিল ইমরান।

আমেরিকার মূলধারার নাগরিকদের জন্যে এই প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হলেও স্বাগতিক বক্তব্যে জামিল ইমরান প্রবীণ বাংলাদেশিদের জন্যেও এটি একটি নির্মল আনন্দ, চিত্তবিনোদন ও স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণের আদর্শ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হতে পারে বলে মন্তব্য করেন।

তিনি সব প্রবীণ বাংলাদেশিদের এর সুযোগ সুবিধা নেওয়ার আহ্বান জানান।

জর্জিয়া রাজ্যে জামিল ইমরান মূলধারার নাগরিক তথা বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অভিবাসী আমেরিকানদের জন্যে স্বাস্থ্য সেবা, অবহেলিত প্রবীণদের সরকারী সাহায্য সহযোগিতা দেওয়া ও মেডি-কেয়ার, মেডি-কেইড, দরিদ্রদের সরকারী অনুদান, বৃত্তি ও ফুড স্ট্যাম্প নিয়ে সহযোগিতা দেওয়াসহ নানা সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে গত কয়েক বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটির সাফল্য আনতে সক্ষম হয়েছেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক কারমেন এস্ট্রাডা, মায় ট্যাং, এন হৃদমিসহ বেশ কয়েকজন বোর্ড অব ডিরেক্টর। তারা প্রবীণদের সেবা প্রদানের নানান দিক নিয়ে পরামর্শ ও দিক নির্দেশনাসহ সকল নব গঠিত এই প্রতিষ্ঠানটির জন্যে সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন।   

এদিকে উদ্বোধনের পর চেয়ারম্যান জামিল ইমরান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জর্জিয়া রাজ্যে অনেক প্রবীণ বয়সী বাংলাদেশি আছেন, যাদের ছেলে-মেয়েরা তাদের কাজ-কর্মে ব্যস্ত থাকায় মুরুব্বীদের স্বাস্থ্য সেবা, মেডিক্যাল চেক আপ থেকে শুরু করে সরকারি অনুদানের নানা প্রকল্প নেওয়ার যোগ্যতা অর্জনের পরও সময়ের অভাবে সেসব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।”

“আমাদের এই নতুন প্রতিষ্ঠানে এলে আমি একজন বাংলাদেশি হিসেবে সবার আগে আমার নিজ দেশের মানুষের জন্যে এসব সেবা দিতে সচেষ্ট হব।”

তিনি সব প্রবাসী বাংলাদেশিকে তাদের বয়স্ক বাবা-মাদের জন্য যেকোনও সার্ভিস পেতে তার প্রতিষ্ঠিত এই সিনিয়র সেন্টারে যোগাযোগের অনুরোধ জানান।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!