রোববার সিডনিতে প্রবাসী সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সিডনি প্রেস ও মিডিয়া কাউন্সিলে’র আয়োজনে মার্টিটন প্লেস এলাকার চ্যানেল এস ভবনের কার্যালয়ের সামনে ওই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিকাল ৩টায় বিক্ষোভ অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১টা থেকেই সিডনির বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক সমাগম হতে শুরু করে। অবশেষে অনুষ্ঠানস্থলটি বিরাট সমাবেশে পরিণত হয়।
সিডনি প্রেস ও মিডিয়া কাউন্সিলের সিনিয়র সহ সভাপতি আবদুল্লাহ ইউসুফ শামিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠান শুরুর পর স্বাগত বক্তব্য দেন কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মেদ আব্দুল মতিন ও সদস্য রতন কুন্ডু।
সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মেদ আব্দুল মতিন তার বক্তব্যে বলেন, "রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর এত নির্মমও নৃশংস নির্যাতন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ হওয়ার পরও বিশ্ব বিবেক আজ নীরবতাপালন করছে। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদেরবাঙালি আখ্যায়িত করে বাংলাদেশের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছে।
“তার কড়া জবাব দেওয়া দেশের সরকার ও জনগণের পাশাপাশি প্রবাসীদের নৈতিক দায়িত্ব।”
তিনি কাউন্সলের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়া সরকার, পার্লামেন্টের স্পিকার, মায়ানমার হাইকমিশনে স্মারক লিপি পাঠানোর কথাও জানান।
বিক্ষোভ মিছিলের মূল স্লোগান ছিল মিয়ানমার সরকার ও অং সান সু চি-র বিরুদ্ধে এবং হত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপের দাবিতে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মিয়ানমারে লেডি হিটলার অং সান সুচির সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর নির্যাতন ও হত্যা দেখে বিশ্ব বিবেক স্তব্ধ। বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদকে অগ্রাহ্য করে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তায় হুমকি থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
সমাবেশে অতি দ্রুত রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার দিয়ে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারের উপর অর্থনৈতিক অবরোধসহ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং আন্তর্জাতিক আদালতে এ গণহত্যার বিচারের দাবি জানান তারা।
বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচিতে সিডনি প্রবাসী সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকসহ লেবানিজ, রোহিঙ্গা, ভারত এবং পাকিস্তানের কমিউনিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।