২০১৬ সালের পয়লা জানুয়ারিতে পাহাড় দেখার জন্য বিশেষ দিবস হিসেবে জাপানের ডায়েট (সংসদ)-এ সরকারি ছুটি ঘোষণা করে। এর আগে ২০১৪ সালের ২৩ মে জাপানের সংসদে (ডায়েট) পাহাড় দেখার জন্য একটি দিনকে ছুটির দিন করার প্রস্তাব করা হয়।
এর আগে জাপানে ১৫টি সরকারি ছুটির দিন ছিল। পাহাড় দেখার দিন যোগ হওয়ার ফলে তা এখন ষোলোতে ঠেকেছে। জাপানিজরা আরও বেশি পাহাড় ভালোবাসবেন, পরিশ্রমের পর ছুটি কাটাতে পাহাড়ের একান্তে সান্নিধ্যে যাবেন আর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করবেন- সে লক্ষ্যেই এ দিনটিকে ছুটির দিন ঘোষণা করা।
ফটোগ্রাফার সহিদুল হককে সঙ্গী করে নিয়ে চলে গেলাম রাজধানী টোকিও থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে শিজোওকা প্রিফেকচারের হামামাৎস্যু শহরে পাহাড় ও পানির কাছাকাছি হামানাকো লেকে সময় কাটাতে।
প্রায় বিশ বছর আগে একবার গিয়েছিলাম হামামাৎস্যু। ১৯৯১ এর মাঝামাঝি জাপান আসলেও তার পাঁচ বছর পর আমি একা জাপানের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে শুরু করি। তখন এখনকার মতন এতো কিছু ভালো বুঝতাম না। বেড়াতে গিয়েছিলাম, বেড়িয়েই আবার চলে আসি।
স্মৃতি হিসাবে কিছু ছবি তুলেছিলাম সেই ফুজি আর কোডাক ফিল্মের যুগে। সেগুলোর দুয়েকটা মাঝে মধ্যে চোখের সামনে ভেসে ওঠে ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে রেখেছিলাম সে কারণে।
অনেকদিন পর ঠিক করেছি পুরো জাপান নতুন করে ঘুরবো। সে লক্ষ্যেই এবারের যাওয়া। ভ্রমণ বিলাসী আমি আর সহিদুল। দু’জনের শখ আর পরিকল্পনা মিলে যাওয়াতে প্রায়ই বেরিয়ে পড়ি দু’জনে গাড়ি নিয়ে।
হামামাৎস্যু শহরে বাংলাদেশে আমার এলাকার পূর্ব পরিচিত কয়েকজন পঁচিশ-ত্রিশ বছর আগে থেকেই বসবাস করছেন। প্রত্যেকেই সেখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করে প্রতিষ্ঠিত। আগেই ফোন করে একজনকে বলেছিলাম সেখানে যাওয়ার কথা। শুনে খুশি হলেও প্রত্যেকেই যে যার মতো ব্যস্ত বলে কে কতোটা সময় দিতে পারবেন সেটা হলফ করে আগে বলেননি।
দুইজনেরই ‘যেখানে রাত সেখানেই কাত হওয়ার’ অভ্যাস আছে বলে এখানকার লেক হামানাকোর পাড় গিয়ে তাঁবু খাটালাম। হামানাকো লেকের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মিঠা পানি এবং লবণ পানি উভয় পানির মাছই এখানে পাওয়া যায়।
এখানকার ‘কুইচ্ছা’ মাছ বিখ্যাত। ইংরেজিতে এটি ‘ইল’, জাপানিজ ভাষায় ‘উনাগি’। হামানাকোর লেকের এই কুইচ্ছা মাছ অনেক দামিও। দিনের বেলায় এখানে ঘুরে দেখার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। গভীর রাত পর্যন্ত লেকের পাড়ে বসে ঠাণ্ডা হাওয়া গায়ে লাগিয়ে একসময় ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালে উঠে নিজেই মামুন ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করলাম। এরপর চলে গেলাম কাছে থাকা এই মসজিদে।
মসজিদে শুয়ে সহিদুল বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। আমি ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করছিলাম। এমন সময় মামুন ভাইয়ের ছোট ভাই বুলবুল আহমেদ এসে নিজের পরিচয় দিয়ে কথা বললেন।
জানালেন মামুন ভাই তাকে পাঠিয়েছেন আমাদের নিয়ে যেতে। তার পিছুপিছু গাড়ি নিয়ে তাদের অফিস পর্যন্ত। অফিসেই কফি খেতে খেতে বিশ্রাম করছিলাম এমন সময় এলেন মামুন ভাই। এসেই তার গাড়িতে তুলে আমাদের নিয়ে চললেন নিজের বাসার উদ্দেশ্যে। আবদুল্লাহ আল মামুন ভাইয়ের বাড়িও আমার এলাকায়। এলাকা বলতে পূবাইলের কয়েরে।
তাদের বাড়ি আর আমাদের বাড়ির মাঝখানে একটা বড় বিল। বেল্লার বিল নামে পরিচিত। বাসায় নিয়ে গিয়ে জানালেন, এক সপ্তাহ আগে নতুন এ বাসায় উঠেছেন। এর আগে যে বাসায় ছিলেন, সে বাসায় আক্তার ভাই এসে সপরিবারে কিছুদিন ছিলেন। আক্তার ভাই বলতে আক্তারুজ্জামান, একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি ছিলেন। বর্তমানে গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।
এরপর গাজীপুরের জনপ্রিয় নেতা জাহাঙ্গীর আলম এসেও তার এই বাসায় ছিলেন। ওনারা দু’জনই আমার খুব কাছের মানুষ, তাই আলোচনা জমে উঠলো তাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। তারপর সেখানেই নাস্তা করে নিলাম।
হামামাৎস্যু হচ্ছে গাড়ির শহর। তাছাড়া গাড়ি ছাড়া চলাচল অনেকটাই অসম্ভব। সবার ঘরেই একাধিক গাড়ি আছে। আমাদের গাড়ি রেখে মামুন ভাইয়ের গাড়িতেই চড়ে বসলাম। আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো হামামাৎস্যু শহরে নবনির্মিত ‘হামামাৎস্যু মোহম্মদি মসজিদ’-এ।
ইচ্ছে, এই এলাকার বাংলাদেশিদের সাথে দেখা করে আমার লেখা বই দেওয়া। বাংলাদেশিদের সাথে দেখা করে কুশল বিনিময় করার পর সবার সাথে দাঁড়িয়ে স্মৃতি ধরে রাখতে একবার ছবি তুললাম।
মসজিদের ইমাম একজন বাংলাদেশি। তার বাড়িও গাজীপুর জেলায়। আমার বাড়িও গাজীপুর বলে তার সাথে দেখা করতে আগ্রহ প্রকাশ করি। নাম তার মো. সাদ। উনি একজন কোরানে হাফেজ। ইমাম সাহেব বেরিয়ে আসলে তার সাথে পরিচয় হয়ে পুনরায় সবার সাথে ছবি তুলে আমার লেখা বই উপস্থিত বাংলাদেশিদের অনেককে উপহার দেই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী ইনসান আহমেদ, সৈয়দ মাহফুজুর রহমান বাবু, খোরশেদ আলম, রনি, মাহবুবুর রহমান বাবুল সহ আরও অনেকে।
দুপুরে আবার মামুন ভাইয়ের ঘরে এসে ভাবির হাতের স্বাদের রান্না খেয়ে বেরিয়ে পড়লাম পুরো শহর ঘুরে দেখার জন্য। কাছেই বিখ্যাত সেই হামানাকো লেক। লেকের এক জায়গাতে নিয়ে গেলেন আমাদের। সেখানে দেখলাম প্রাচীরের গায়ে হাজার খানেকেরও বেশি তালা ঝুলে আছে। পাশেই ঘণ্টা লাগানো। বিষয়টি দেখেই বুঝতে পারি কুসংস্কারের আখড়া যে এখানে।
কারণ এমন উদ্ভট কাহিনী আমি আগেও যে টেলিভিশনে দেখেছি। বিষয়টি হচ্ছে নতুন প্রেমিক-প্রেমিকার জুটি এসে নিজেদের প্রেম গভীর ও অটুট হবার জন্য এখানে তালা লাগিয়ে ঝুলিয়ে দিয়ে ঘণ্টা বাজায়। ঘণ্টা বাজিয়ে মানত করে যেনো তারা শেষ পর্যন্ত এই তালার মতন করে ভালোবাসায় জড়িয়ে থাকে।
কিছুটা সময় সেখানে কাটিয়ে আবার গাড়িতে চড়ে পুরো লেকের পাড় ঘেঁষে এলাকা দেখার ইচ্ছায় রওনা দিলাম। কিন্তু শরীর আমার খুব ভালো যাচ্ছিল না। যেতে যেতে এক সময় ঘুমিয়ে পড়লাম গাড়িতেই। ঘুমানোর আগে যেটুকু দেখার, তা ছিল লেকের পানি আর আশেপাশের সবুজ পাহাড়।
আমরা যেখানে গিয়ে ঘুরে বেড়ালাম সেটি হচ্ছে ‘তোমে’ এক্সপ্রেস সার্ভিস এরিয়া। ‘তোমে’ শব্দের অর্থ ব্যাখ্যা করতে কষ্ট হলেও এখানে বলা দরকার এই জন্য যে, জাপানের কোনো রাস্তা বা হাইওয়ের নামকরণ কিন্তু এই দেশের কোনো বিখ্যাত নেতা বা ব্যক্তির নামানুসারে হয় না।
সচরাচর হাইওয়ের নাম হয় কোন স্থান থেকে কোন স্থান পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়, সেই এলাকার নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে। আর জাপানের অক্ষরকে ‘কাঞ্জি’ বলা হয়।
এই ‘কাঞ্জি’রও ভিন্ন উচ্চারণ রয়েছে। এখানে টোকিওর ‘তো’ আর নাগোয়ার ‘না’ কাঞ্জি ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ‘না’ কাঞ্জির আরেকটি উচ্চারণ হচ্ছে ‘মে’। এই দুই কাঞ্জির সমন্বয়ে হাইওয়ের নামকরণ হয়েছে ‘তোমে’। এই এলাকাটি টোকিও-নাগোয়ার মাঝামাঝি বাস স্টপেজ। এখানে দূরপাল্লার বাসে আসা যাত্রীদের খাবার ও রিলাক্স করার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে কিছু সময় ঘুরে দেখার পর চলে গেলাম আরও কিছুটা দূরে, বেনতেন জিমা ফিশিং জোনে।
‘বেনতেন জিমা’ একটি ছোট দ্বীপ। এলাকাটি দেখেই আমাদের মাছের আড়তের মতো মনে হলো। ছোট বড় ডিঙি নৌকার মতন অনেক স্পিডবোট ঘাটের সাথে বাঁধা রয়েছে। দূরে তার চেয়ে বড় জাহাজ। মামুন ভাই বুঝিয়ে দিলেন, এসব দিয়ে মাছ ধরা হয়। বলতে বলতে সরু রাস্তায় ঢুকে গিয়ে বললেন, এই এলাকায় বিখ্যাত ও স্বাদের শুঁটকি পাওয়া যায়।
সেখান থেকে বেড়িয়ে আবার হামামাৎস্যু শহর। শহরে ঢুকেই মামুম ভাই জানালেন, গত বছর ঢাকা গুলশানে যে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে হলি আর্টিজানে যে কয়জন জাপানিজ মারা গেছেন, তাদের একজন এই শহরের। মামুনের এই কথা শোনার সাথে সাথে আমি তাকে বললাম, যে করেই হোক তার পরিবারের সাথে আমার দেখা করিয়ে দেবার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
তিনি চেষ্টা করবেন বলে জানালেন। এই শহর সম্পর্কে মামুন ভাই জানালেন পদার্থ বিদ্যায় কয়েক বছর আগে নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন অধ্যাপক কসিবা, তার বাড়িও এই শহরেই। বলার পর এই শহর সম্পর্কে জানার আগ্রহ আমার বেড়ে গেলো।
মামুন ভাই একজন দক্ষ গাইডের মতন বলতে শুরু করলেন, হামামাৎস্যু শহরের বর্তমান লোক সংখ্যা প্রায় আট লাখ। বিখ্যাত পিয়ানো- খাওয়াই, রোলান্ড, বসের প্রধান কার্যালয় এই শহরেই অবস্থিত।
তাছাড়া হামামাৎস্যু ফটোনিকের শতাংশ শেয়ার হোল্ডার এই হামামাৎস্যু। এখানেই রয়েছে হোন্ডা, ইয়ামাহা, সুজুকি এসব গাড়ির প্রধান অফিস ও কারখানা। নাম শুনে মনে হলো প্রতিটিই আমার জন্য একটি করে আলাদা প্রতিবেদন করার মতন প্রতিষ্ঠান।
টোকিও থেকে এতদূরে এসে এসব না দেখে ঘুরে যাওয়ার কথা চিন্তা করতেই মনে কষ্ট জমতে শুরু করলো। মামুন ভাইয়ের সাথে কথা বলে মনে হলো, এই এলাকা সম্পর্কে যেন একজন জীবন্ত উইকিপিডিয়া।
বললাম, আবার আসবো আপনার সাথে এই শহর ঘুরে দেখার জন্য। আজ যেহেতু সব কিছুই ছুটি, সুতরাং সেসব অফিসের সামনে দিয়ে ঘুরে চোখ আর মন জুড়িয়ে যাওয়া ছাড়া কিছু আর করার নেই। এছাড়াও বিভিন্ন বিখ্যাত স্থান ও স্থাপত্যসহ লেকের চারপাশের প্রাকৃতিক সুন্দর স্থানগুলো ঘুরিয়ে দেখান।
জানতে পারলাম এখানকার সৈকতও বেশ উল্লেখযোগ্য। সুযোগ করে আমি আর সহিদুল এক সময় সাগরে নেমে গোসলও করে নিলাম। কয়েকবছর পর এই সাগরের পানিতে গোসল করা বেশ ভালোই লাগলো। ঢেউয়ের সাথে যুদ্ধ করার আনন্দই ছিল ভিন্ন রকম।
সন্ধ্যার পর আমরা সবাই মিলে চলে গেলাম ফুকোরোই শহরের নিরিবিলি এক জায়গাতে। সাথে মিসেস মামুন, লাকী আক্তার আর তাদের ফুটফুটে মেয়ে মালিহা।
গিয়ে আস্তানা গাড়লাম সেখান থেকে ফায়ার ওয়ার্কস দেখার জন্য। আমরা যেখানে গিয়ে গাড়ি পার্ক করলাম, সেখান থেকে কাছেই এক নদীর ধারে অনুষ্ঠিত জাপানের সবচেয়ে বড় দশটি ফায়ার ওয়ার্ক্স-এর একটি অনুষ্ঠিত হবে।
আমরা সবাই মিলে শুরু করলাম উপভোগ করতে। সে সময় সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন আজিজ রানা, সোহেল আহমেদ, কল্লোল, পিংকী ফারজানা, শাহানাজ বেগম, সুবর্ণাসহ আরও অনেকে।
অনেক রাত পর্যন্ত সেখানে বাংলাদেশি সবাই জাপানিজদের পাশাপাশি বিশেষ খাবার খেয়ে ফায়ার ওয়ার্কস শেষ হলে আবার চলে গেলাম মামুন ভাইয়ের বাসায়। ইতোমধ্যে তখন তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সাথে দমকা হাওয়া। মনে হচ্ছিলো গাড়ি আমাদের উল্টিয়ে ফেলবে যেন! রাস্তায় হাজার হাজার গাড়ি থেমে আছে।
মনে হচ্ছিলো, আমরা ঢাকার কোনো রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামে বসে আছি। উল্টোদিক পুরোটাই ফাকা। মূল রাস্তা থেকে শাখা রাস্তাগুলো সব বন্ধ করে রেখেছে। ওগুলো চালু থাকলে এই অবস্থা হয় না। কিন্তু কেন যে মূল রাস্তা ছাড়া অন্য রাস্তা দিয়ে গাড়ি যেতে দিচ্ছিল না, বুঝতে পারিনি।
আমাদের পরিকল্পনা- রাতে থাকবো না। আবার রওনা দেবো জাপানের পুরাতন রাজধানী কিওটোর উদ্দেশ্যে। তাই বেশি রাতে রওনা দিলেও সমস্যা নেই। ঘুম পেলে এবং ক্লান্ত হলে যে রাস্তায়ই ঘুমাতে পারবো। বাসায় গিয়ে মামুন ভাইয়ের মেয়ে মালিহার সাথে খেলা করে সময় কাটালাম। রাত এগারোটার দিকে আবার ভাবির সেবা গ্রহণ করে বিদায় নিলাম।
বিদায় নেবার সময় ভাবিকে বললাম, আবার দেখা হবে বাংলাদেশে কোরবানির ঈদের সময়। আমি আমার লেখা ‘টোকিওর চিঠি’, ‘নিশি গুচি পার্ক’ আর ‘পাখি বই’ তাদের লিখে দিয়ে বিদায় নিলাম।
লেখক: জাপান প্রবাসী ও লেখালেখি করেন।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |