স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকালে ভিয়েনার হউফসাইলে বাংলাদেশ দূতাবাস কার্যালয় মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্রদূত মো.আবু জাফর এবং সঞ্চালনা করেন কাউন্সেলর ও চ্যান্সাররিপ্রধান রাফাত বিন জামান।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ১৯৭৫ সালেরর ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন রাষ্ট্রদূত মো.আবু জাফর। প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর ও চ্যান্সারি প্রধান রাফাত বিন জামান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব মালিহা শাহজাহান।
শোক সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক এম.নজরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অস্ট্রিয়া ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার বায়েজিদ মীর, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল জলিল, আকতার হোসেন, রুহী দাস সাহা, এমরান হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন হোসেন, সাইফুল ইসলাম জসিম, শিল্পী আবুল কালাম, আহাদ চৌধুরী, নুসরাত সুলতানা ও মিজানুর রহমান।
সভায় এম.নজরুল ইসলাম বলেন, “মুষ্টিমেয় কাপুরুষের হাতে প্রাণ দিলেও বঙ্গবন্ধু পরাজিত হননি। কৃষি, শিল্প, যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সমাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মহাসড়কে দেশকে স্থাপিত করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে সেই পথেই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ।”
অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু ও আমাদের স্বাধীনতা’ বিষয়ে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সকল প্রতিযোগীকে দূতাবাসের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হয়। শিশু-কিশোদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী সালমা আহমেদ জাফর।
সভা শেষে বঙ্গবন্ধুসহ নিহত সকল শহীদদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন দূতাবাসের সহকারী কনস্যুলার জুবায়দুল হক চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর শৈশব, রাজনৈতিক এবং কর্ম জীবনের উপর স্থিরচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ছিল। আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |