নিউ ইয়র্ক পুলিশের লেফটেন্যান্ট হলেন বাংলাদেশের প্রিন্স

নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের (এনওয়াইপিডি) ‘লেফটেন্যান্ট’ পদে পদোন্নতি পেয়েছেন বাংলাদেশের পটুয়াখালীর একেএম প্রিন্স আলম।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 July 2017, 03:45 PM
Updated : 29 July 2017, 03:46 PM

শুক্রবার পুলিশ সদর দফতরে অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানে প্রিন্স আলমের হাতে পদোন্নতির সনদ তুলে দেওয়ার পাশাপাশি তাকে ব্যাজ পরিয়ে দেন পুলিশ কমিশনার জেমস পি ও’নিল।

এসময় শীর্ষস্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও বাংলাদেশি-আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সদস্যরাও ছিলেন।

প্রিন্স আলম গত ১১ বছরের চাকরি জীবনে পুলিশ অফিসার থেকে সার্জেন্ট এবং সর্বশেষ লেফটেন্যান্ট পদে পদোন্নতি পেলেন।

তার বাবা একেএম শাহ আলম পেশায় একজন আইনজীবী। ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান প্রিন্স আলম।

পদোন্নতির অনুষ্ঠানে স্বামীর সঙ্গে এসেছিলেন প্রিন্স আলমের স্ত্রী তানজিনা ইসলাম শর্মী।

স্বামীর সাফল্যে আনন্দিত শর্মী বলেন, “আমি আমার স্বামীকে এনওয়াইপিডির আরো শীর্ষ পদে দেখতে চাই।”

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বাপা’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সার্জেন্ট সুমন সাঈদ, অন্যতম ট্রাস্টি লেফটেন্যান্ট কারাম চৌধুরী ও ডিকেটটিভ জামিল সারোয়ার জনি, সার্জেন্ট মঞ্জুর এলাহী, সার্জেন্ট এরশাদ সিদ্দিকী, অফিসার আব্দুল লতিফ, মামুন সর্দার, হাসনাত এবং মোহাম্মদ খান।

বাপা’র ট্রাস্টি ডিটেকটিভ জামিল সারোয়ার জনি বলেন, “নিউ ইয়র্ক পুলিশে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কর্মকর্তাদের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। পুলিশ বিভাগে বাংলাদেশিরা অনেক ভাল করছেন।”

ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জামিল সারোয়ার।

প্রিন্স আলমসহ নিউ ইয়র্ক পুলিশে সাতজন লেফটেন্যান্ট হলেন।

অন্য বাংলাদেশি লেফটেন্যান্টরা হলেন- মিলাদ খান, সুজাত খান, শামসুল হক, কারাম চৌধুরী, খন্দকার আব্দুল্লাহ এবং নিয়ন চৌধুরী।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!