নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের আটলান্টিক সিটিতে আল-হেরা মসজিদের পরিচালনা কমিটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইসলামিক সংগঠন ‘মুনা’র দুই গ্রুপের দ্বন্ধকে কেন্দ্র করে গত দুই সপ্তাহ ধরে চলছে ক্ষমতার মহড়া।
শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন বিবাদমান দু’টি গ্রুপকে কোন বক্তব্য বা সভা না করার নির্দেশ দিয়েছেন।স্থানীয় পুলিশ পাহারায় আল-হেরা মসজিদের মুসল্লিরা নামাজ আদায় করছেন।
স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানান, মসজিদের নামাজ পড়তে আসা মুসলমানরা শঙ্কা নিয়ে নামাজ পড়ছেন। সবার আশঙ্কা দুই গ্রুপের দ্বন্ধের কারণে আবার মারামারি শুরু হতে পারে।
মসজিদের মুসল্লিরা জানান, দ্বন্ধের মূল বিষয় হচ্ছে আল-হেরা মসজিদের ট্রাস্ট্রি বোর্ড ও মসজিদ কমিটি গঠন নিয়ে । আগের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সংখ্যা ছিল ১৫ যাদের সবাই হচ্ছেন ‘মুসলিম উম্মাহ অব নর্থ আমেরিকা’ সংগঠনের নেতা।
কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ৮ বছরে তারা তা করেননি অথবা করতে পারেননি।২০১৫ সালে কমিটিতে স্থানীয় মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হলেও ‘মুনা’র কেন্দ্রীয় নেতারা এতে বাধা দেন। এরই মধ্যে ট্রাস্টি বোর্ডের দুই বছরের মেয়াদ শেষ হয়।
গত ১৫ জুলাই নতুন ট্রাস্টি বোর্ড, পরিচালনা কমিটি ও উপদেষ্টা কমিটি গঠনের জন্য আল-হেরা মসজিদে বিবাদমান দুই গ্রুপের সভার আয়োজন করা হয়। সভায় ‘মুনা’র কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রহিম গ্রুপের নেতারা আগের কমিটি বাতিল ঘোষণা করে ‘মুনা’র সমর্থনপুষ্ট জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে আরেকটি কমিটি গঠনের চেষ্টা করেন। কিন্তু মসজিদ কমিটির বর্তমান সভাপতি গ্রুপের নেতারা এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও হট্টগোল শুরু হয়।
বিএনপিপন্থী কিছু নেতাকর্মী অবস্থান নিয়েছেন ‘মুনা’র নতুন কমিটির পক্ষে, অন্যদিকে বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক ও স্থানীয় সাংবাদিকরা অবস্থান নিয়েছেন স্থানীয়দের পক্ষে। স্থানীয় সাংবাদিকরা ফেইসবুকে লাইভ দিয়ে বিবাদমান দুই গ্রুপের মারামারির দৃশ্য প্রচার করলে এ নিয়ে কমিউনিটির মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
ইতোমধ্যে দুটি গ্রুপ দল ভারি করতে বিভিন্ন সভা সমিতির আয়োজন করছে। ‘মুনা’ গ্রুপের নেতারা স্থানীয় কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন, যার শুনানি হবে আগামী ১৩ অগাস্ট ।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |