১১ সদস্যবিশিষ্ট ‘বস্টন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম’-এ আহ্ববায়ক হয়েছেন শহীদ পরিবারের সন্তান তাহেরা আহমেদ মিতু এবং যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন শহীদ পরিবারের সন্তান উজ্জ্বল বড়ুয়া, আবু মানসুর ও সৈয়দা যোহরা পারভিন।
স্থানীয় সময় শনিবার বস্টনের ক্যামব্রিজ সিটির একটি মিলনায়তনে এ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের মহাসচিব ও মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব।
চলচ্চিত্র নির্মাতা নূরল হক বাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন শহীদ পরিবারের সন্তান ফাহমিদা মালিক।
ফোরামের অন্যান্য সদস্যরা হলেন শাকিল আহমেদ রণি, বাসন্তী গমেজ, খলিলুর রহমান, মো.এস মিয়াজি, আব্দুল আজিজ, ফাহমিদা মালিক এবং সেলিম জাহাঙ্গির।
তিনি আরও বলেন, “যতদিন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি ও নব্য স্বাধীনতাবিরোধী চক্র রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা অব্যাহত রাখবে, যতদিন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইতিহাসের যথাযথ মর্যাদা রক্ষিত না হবে, ততদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও নতুন প্রজন্মের প্রতিরোধ যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।”
হারুন হাবীব বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার ও শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের লুণ্ঠিত গৌরব পুনরুদ্ধার করেছেন, রাষ্ট্রকে কলংকমুক্ত করেছেন, বাংলাদেশকে আবারও মহান মুক্তিযুদ্ধের নির্দেশিত পথে ধাবিত করেছেন।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ রাষ্ট্রের দেশি-বিদেশি প্রতিপক্ষরা এই অর্জন ধুলিসাৎ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কাজেই মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক শক্তির সাথে সাংস্কৃতিক শক্তির মিলন ঘটিয়ে একটি নতুন রেনেসাঁর সূত্রপাত ঘটাতে হবে, যাতে একাত্তরের চেতনা নতুন প্রজন্মের মন ও মননে স্থায়ী আসন লাভ করে।”
সমাবেশে অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ, আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাক তালুকদার, হাবিবুর রহমান, শিক্ষাবিদ আহমেদ হাসান ও শহীদ সন্তান নাহিদ নজরুল।
বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিউ ইংল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ইউসুফ, আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ আবুল কাশেমসহ আরও অনেকে।