স্থানীয় সময় বুধবার মামলা চলাকালে কুইন্স আদালতের সামনে 'ইউনাইটেড বাংলাদেশি বাংলাদেশি ফর শাহেদুল ইসলাম' ব্যানারে ওই মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে ডেপুটি কনসাল জেনারেলের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিস্তারিত তদন্ত শেষে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করা হয়।
শাহেদুলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে মোহাম্মদ আমিন নামে একজনকে গৃহকর্মী হিসেবে নিউ ইয়র্কে এনে তার কুইন্সের বাসায় রেখে ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মে মাস পর্যন্ত বিনা মজুরিতে জোরপূর্বক কাজ করানোর ঘটনায় শ্রম পাচার ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মোহাম্মদ আমিনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কূটনৈতিক কর্মকর্তা হলেও সম্পূর্ণ ‘কূটনৈতিক দায়মুক্তি’র অধিকারী না হওয়ায় গ্রেপ্তার এড়াতে পারেননি শাহেদুল।
এ অভিযোগে কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি রিচার্ড এ ব্রাউন শাহেদুলের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন ১২ জুন। সেদিনই সকালে শাহেদুলকে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি ডেনিয়েল লুইসের এজলাসে সোপর্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পর কুইন্স সুপ্রিম কোর্টে হাজির করলে বিচারক ড্যানিয়েল লুইস ৫০ হাজার ডলারের বন্ড বা নগদ ২৫ হাজার ডলারে তার জামিন ঠিক করে দেন। এরপর ১৩ জুন সন্ধ্যায় তিনি জামিনে মুক্ত হন। তবে আদালত শাহেদুলের পাসপোর্ট জব্দ করার নির্দেশ দেন।
২৮ জুন শাহেদুলের বিরুদ্ধে করা মামলার প্রথম শুনানির দিন। ওইদিন আদালতের সামনে মানববন্ধন করা সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের ক্ষেত্র প্রস্তুতের অভিপ্রায়ে শাহেদুলকে ফাঁসানো হয়েছে। প্রকৃত অর্থে শাহেদুল আমিনকে সবসময়ই ন্যায্য পারিশ্রমিক দিয়েছেন।
সংগঠনটি জানায়, বাংলাদেশে ঠাকুরগাঁও জেলার কিশোরবাড়ি গ্রামে ৮ লাখ টাকায় একটি বাড়ি তৈরি করেছেন আমিন। একই সময়ে ঠাকুরগাঁও জেলা সদরে ২৪ লাখ টাকায় ৮ শতাংশ জমি ক্রয়ের তথ্যও উপস্থাপন করা হয় মানববন্ধন থেকে।
এসবের সমর্থনে প্রমাণ আদালতে সোপর্দের জন্যে শাহেদুলের এটর্নি সময় প্রার্থনা করেছিলেন। মাননীয় আদালত ৩ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন বলে ডিস্ট্রিক্ট এটর্নির অফিস থেকে জানা গেছে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন আইরিন পারভিন, জাকারিয়া চৌধুরী, শাহীন আজমল, মোশারফ হোসেন, এমাদ চৌধুরী, মিসবাহ আহমেদ, নূরল আবসার সেন্টু ও শিবলী সাদিকসহ আরও অনেকে।