রোববার দেশটির দুই হাজার ৬০০-রও বেশি মসজিদ ছাড়াও খোলা মাঠ এবং বিলাসবহুল হোটেলের বলরুমে অনুষ্ঠিত হয় ঈদ জামাত।
প্রায় প্রতিটি জামাতের আশপাশেই ছিল নিরাপত্তাবেষ্টনী। ফলে সামান্য অস্বস্তি নিয়েই নতুন পোশাকে নারী-পুরুষেরা ঈদ করছেন।
নিউইয়র্কে ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় কুইন্সে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের আয়োজনে। একটি স্কুলের খেলার মাঠে এ জামাত অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশিদের নেতৃত্বে।
১৫ হাজারের বেশি মুসল্লি এতে অংশ নেন বলে আয়োজকরা উল্লেখ করেন। এর পরের বড় জামাতগুলো অনুষ্ঠিত হয় ওজোনপার্কে মসজিদ আমান, এস্টোরিয়ায় আল আমিন মসজিদ, ব্রুকলিন বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টার ও বায়তুল জান্নাহ মসজিদের ব্যবস্থাপনায়।
মুসলিম আমেরিকানদের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে কর্মরত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন্স’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সর্বত্র শান্তিপূর্ণভাবেই ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রায় প্রতিটি এলাকার প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুসলমানদের সর্ববৃহৎ এই ধর্মীয় উৎসবের সমর্থনে আন্তরিকতার সাথে সহায়তা ধর্মীয় সম্প্রীতির ক্ষেত্রে ‘এক অনন্য নজির’ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রায় সকলেই নতুন পোশাকে প্রতিবেশিদের বাসায় গিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
জ্যাকসন হাইটসের ‘নিউ মেজবান’ নামক একটি রেস্টুরেন্টে ব্যাচেলরদের স্বার্থে বিনামূল্যে ঈদের সেমাই বিতরণ করা হয়। জামাতের আগে ও পরে এই সেমাইয়ের পরিবেশনা ছিল অনন্য এক সংযোজন।
নিউইয়র্কসহ প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই গ্র্যাজুয়েশন পার্টি সমাপ্ত হবার সাথে সাথে শিক্ষাবর্ষেরও শেষ লগ্নে হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যে ঈদের আনন্দ এবার অনেক বেশি।
নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক স্কুলসমূহে ঈদের দিন ছুটি ছিল। কিন্তু সেটি কাজে লাগলো না রোববার ঈদ হওয়ায়। কারণ, শনি ও রোববার হচ্ছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন।
এবারও যুক্তরাষ্ট্র থেকে কমপক্ষে ৫০ হাজার বাংলাদেশি-আমেরিকান স্বজনের সাথে ঈদ করার জন্যে বাংলাদেশে গেছেন। তাদের প্রায় সকলেই ফিরবেন ঈদুল আযহার পর।
এবারও বাংলাদেশের কয়েকজন জাতীয় নেতা যুক্তরাষ্ট্রে ঈদ উদযাপন করছেন। এর মধ্যে রয়েছেন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের মহাসচিব সাংবাদিক-লেখক হারুন হাবীব, সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিন আহমদ, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ এবং বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকাসহ অনেকেই।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |