টাওয়ার হ্যামলেটসের সব মসজিদে বাড়তি নিরাপত্তার উদ্যোগ

উত্তর লন্ডনের ফিন্সবুরি পার্ক মসজিদের সামনে ভিড়ে ওপর ভ্যান উঠিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পরে বাঙালি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস বারার সব কয়টি মসজিদ নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন সেখানকার নির্বাহী মেয়র জন বিগস।   

লন্ডন প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 June 2017, 03:51 PM
Updated : 19 June 2017, 04:04 PM

স্থানীয় সময় সোমবার এক বিবৃতিতে মসজিদের মুসল্লীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করে ওই বিশেষ নিরাপত্তার দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।

বিবৃতিতে জন বিগস বলেন, নির্দোষ মুসল্লিদের উপর এধরণের হামলা নৃশংস এবং কাপুরুষোচিত।সন্দেহ নেই ফিন্সবারি পার্ক মসজিদের ঘটনার পর আমাদের অনেকের মনেই নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ এবং আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। 

“আর এজন্য আমি আমার কমিউনিটি সেইফটি বিষয়ক কেবিনেট মেম্বারকে নিয়ে পুলিশের বারা কমান্ডারের সাথে টাওয়ার হ্যামলেটসের নিরাপত্তা ইস্যুতে সোমবার সকালে এক বিশেষ বৈঠকে অংশ নেই। বৈঠকে বাসিন্দাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে, বিশেষ করে মসজিদের আশেপাশে পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা বারা কমান্ডার আমাদেরকে জানানোর পর,আমরা স্বাগত জানাই।”

দুই বছর আগে ৩২ শতাংশ বাঙালি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র হিসেবে লেবার পার্টি থেকে নির্বাচিত জন বিগস বিবৃতিতে আরও বলেন, “গত কয়েকদিনে আমাদের এই মহান শহর আরো সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে। আর যারা এই হামলার পেছনে রয়েছে তাদের একটাই উদ্দেশ্য আমাদেরকে বিভক্ত করা।

“কিন্তু তারা এই কাজে কখনওই সফল হবে না। কারণ প্রতিটি হামলার পরই আমাদের কমিউনিটি ঐক্যবদ্ধ হয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছে। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না।”

এ প্রসঙ্গে কেবিনেট মেম্বার ফর কমিউনিটি সেইফটি কাউন্সিলার আসমা বেগম বলেন, “সোমবার সকালেই কাউন্সিলের উদ্যোগে বারার পুলিশ প্রধান এবং ধর্মীয় ও কমিউনিটি নেতাদের মধ্যে এক জরুরি বৈঠকে টাওয়ার হ্যামলেটসে এধরনের হামলা এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আলোচনা হয়।”

“বৈঠকে মসজিদের আশেপাশে পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানোর বিষয়টিকে আমরা সবাই স্বাগত জানাই এবং নিরাপত্তা ইস্যুতে মসজিদ এবং কমিউনিটি নেতাদের সাথে মিলিত হয়ে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়।”

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!