কানাডার ভ্যানকুভারে ‘ট্যাগোর স্প্রিং ফেস্টিভাল’

বসন্তের রঙ প্রকৃতি থেকে ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মনে। হৃদয়ে জেগে ওঠা নতুনের সেই আনন্দে মেতে বসন্তকে বরণ করে নেওয়া বাঙালির শত বছরের ঐতিহ্য।

প্রবাস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2017, 08:36 AM
Updated : 23 May 2017, 08:36 AM

কিন্তু বসন্ত কেবল বাঙালির মনেই দোলা দেয় না, এর আবেদন বিশ্বজনীন। তারই স্বাক্ষর রাখল ভ্যানকুভার রবীন্দ্র পরিষদের আয়োজনে উদযাপিত বসন্ত উৎসব ‘ট্যাগোর স্প্রিং ফেস্টিভাল ২০১৭’।

শনিবার কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া অঙ্গরাজ্যের ভ্যানকুভার শহরে সারি সিটি হলে অনুষ্ঠিত এ উৎসবে বাঙালির বসন্ত উদযাপন বহুজাতিকতার নতুন মাত্রা পেয়েছে।

এ অনুষ্ঠানে বাংলা নাচ-গানের সাথে ছিল ইংরেজি কবিতা, কর্ণাটিক সঙ্গীত এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ধারায় সেতারের মূর্ছনা।

নানা বর্ণ, জাতি ও পেশার হলভর্তি দর্শকের সামনে গান শোনান শিল্পী পিনু সাত্তার। তার গাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি, লালনের গান কিংবা কীর্তন দর্শকরা উপভোগ করেন। পিনুর সাথে তবলায় ছিলেন শুভময় দাসগুপ্ত।

মৃদঙ্গম, ঘতম এবং মোরসিং এর মতো নানা রকম বাদ্যযন্ত্রের সমন্বয়ে কর্ণাটিক গান শোনান লাক্সমী মেনন। সেতারের সুরে দর্শকদের মুগ্ধ করেন মোহামেদ আসানী। সঙ্গে তবলা বাজান অমরজিত সিং।

ইংরেজি কবিতা পড়ে শোনান কানাডিয় কবি বার্নিস লিভার, কোরিয়ান কবি বং জা আহন ও আমেরিকান কবি কারলা শেফার।

অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল সবার শেষে। বাংলার পল্লী প্রকৃতিতে বসন্তের আগমন এবং ঋতুর পরিবর্তন নিয়ে নজরুলগীতি শোনান শঙ্খনাদ মল্লিক, অভীক দে ও কেকা সেনগুপ্ত। তাদের গানের তালে নাচ পরিবেশন করেন একঝাঁক নবীন-প্রবীণ শিল্পী, যার মধ্যে অবাঙালি আলেক্স পারাপ্পিল্লি দর্শকদের মাঝে জনপ্রিয়তা পান।

অনুষ্ঠানে যন্ত্র বাজান সবুজ মজুমদার, তাপস বিশ্বাস ও টম হান্টার। ছায়ানটের প্রাক্তন শিক্ষিকা অর্ণ কমলিকা এতে নেতৃত্ব দেন।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!