স্থানীয় সময় শনিবার ভোর ৫টায় তাদের প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেলে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে বলে নিউ ইয়র্কের টহল পুলিশ জানিয়েছে।
নিহতরা হলেন- রায়হান ইসলাম (২৮), শামসুল আলম (৬১) ও আতাউর রহমান দুলাল (৩৪)। গুরুতর আহত মোহাম্মদ মোল্লাহকে (৩৬) স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতরা সবাই নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকার বাসিন্দা।
শামসুলের স্ত্রী ও বড় মেয়ে ঢাকার পল্লবীতে থাকেন। এক ছেলে ও আরেক মেয়ে বাবার সঙ্গে নিউইয়র্কে থাকেন।
নিহত বাকি দুজনের মধ্যে রায়হানের বাড়ি ভৈরবে ও দুলালের বাড়ি ঢাকায়।
মহাসড়ক পুলিশের মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, হুন্ডা অ্যাকর্ড গাড়িতে চার জন ছিলেন। তাদের মধ্যে শামসুল ও আতাউর ঘটনাস্থলেই মারা যান। গাড়ির চালক রায়হানকে উইনথ্রপ ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মোহাম্মদ মোল্লাহ ওই হাসপাতালে আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।
দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কেউ থাকলে ৬৩১-৭৫৬-৩৩০০ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
শামসুলের ছোটভাই মোহাম্মদ আলম লালিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুবছর আগে অভিবাসী ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসার আগে শামসুল আলম ঢাকায় আল আরাফা ইসলামিক ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন মোহাম্মদ। নিউ ইয়র্কে আসার কয়েক মাস পরই ওই ফার্মাসিউটিকেল কোম্পানিতে কাজ নেন।
শামসুলের মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানো ছাড়াও লাশের সঙ্গে একজন নিকটাত্মীয়ের ঢাকায় যাওয়ার যাবতীয় ব্যয়ভার ফার্মাসিউটিকেল কোম্পানি বহন করতে চেয়েছে বলে জানান লালিম।
নিহত ৩ জনের লাশই বাংলাদেশে পাঠানো হবে। তবে সোমবারের আগে লাশ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে হাসপাতালের উদ্ধৃতি দিয়ে লালিম জানিয়েছেন।