নেচে সমাজের অসঙ্গতি দূর করতে চান যে শিল্পী

সরকারি হিসেবে আরব আমিরাতে সাড়ে আট লাখ বাংলাদেশি আছেন। কয়েক হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি পরিবার বাস করেন এখানে।

লুৎফুর রহমান, দুবাই থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 April 2017, 08:57 AM
Updated : 30 April 2017, 09:04 AM

বাংলাদেশিরা শিশু-কিশোররা পড়াশুনাও করে এখানে। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক বলয়ে তারা নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছে সরবে। তেমনি এক প্রতিভার নাম তিশা সেন। তিশারা থাকেন আরব আমিরাতের আজমান শহরে। 

তিশার বাবা অনুপ সেন আর মা রুপশ্রী সেন। বাংলাদেশে তাদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে। আজমানে তার বাবার রয়েছে নিজস্ব ব্যবসা। তিশা ২০০০ সালে পা রাখেন মরুর দেশ আমিরাতে।

মা-বাবার সঙ্গে তিশা সেন

তিনি বলেন, “আমার সাংস্কৃতিক বলয়ের ছায়াসঙ্গি আমার মা বাবা। পরিবারের আন্তরিক উৎসাহ আর সহযোগিতায় আমি সব প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে বহুদূর যেতে চাই। বিশ্ব দরবারে উড়াতে চাই লাল সবুজের পতাকা।

“নাচে সমাজের অসঙ্গতি দূর করার প্রবল ইচ্ছে আমার। শুদ্ধ বাঙালিয়ানা আর দেশিয়বোধ তোলে ধরা আমার স্বপ্ন।” 

২০০৪ সাল থেকে তিশা নাচ শুরু করেন। নাচে তিনি স্কুল পর্যায়েই সুনাম অর্জন করেন। ছোটবেলা থেকে তিনি নাচের পাশাপাশি ছবিও আঁকেন। মূলত ক্লাসিক্যাল নাচ আর দেশিয় তালে দর্শক মাতাতে তিনি আনন্দ পান।

আজমানের ইন্ডিয়ান স্কুল থেকে লেখাপড়া শেষ করে এখন নিজেই নাচের শিক্ষকতা পেশায় আছেন। ইতোমধ্যে তিনি ভারতের জি টিভি ও বাংলাদেশের একাত্তর টিভিতে অনুষ্ঠান করেছেন। 

সংহতি সাহিত্য পরিষদ আমিরাত শাখার বাঙালিয়ানা উৎসবে নাচ পরিবেশন করে তিনি কমিউনিটিতে সবার নজর কাড়েন। এরপর একে একে প্রায় সব অনুষ্ঠানে ডাকা হচ্ছে তিশাকে।