যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও অর্থনীতি বিষয়ক সম্মেলন

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অর্থনীতি ও ব্যবসা প্রশাসন বিষয়ক ‘ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক কনফারেন্স অন বিজনেস অ্যান্ড ইকনোমিক ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন  অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 April 2017, 05:32 AM
Updated : 29 April 2017, 04:35 AM

দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এ সম্মেলনে ৩২টি দেশের ৯২ জন বিশেষজ্ঞ অংশ নেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক ‘দ্য একাডেমি অব বিজনেস অ্যান্ড রিটেইল ম্যানেজমেন্ট’ ও ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকনোমিক ডেভেলপমেন্ট’-এর যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সম্মেলনের চেয়ারপার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৃটিশ-বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ পি আর দত্ত।

সম্মেলনে পি আর দত্ত বলেন, “সমসাময়িক পরিস্থিতির আলোকে ব্যবসা-বিনিয়োগ-গবেষণা-উদ্ভাবন প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয়। ষষ্ঠ বছরের মত এবারও আমরা সকলে তৃপ্ত সম্মেলনের বক্তব্যে। সামনের বছরও এই সিটিতেই সপ্তম সম্মেলন হবে। কো-হোস্ট হিসেবে আগ্রহ প্রকাশ করেছে নিউ ইয়র্কের মেডগার এভার্স কলেজ।”

মেডগার এভার্স কলেজের পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক জুলেমা ব্লেয়ার বলেন, “মানবতার সামগ্রিক কল্যাণের পথ সুগম করা নিয়ে যারা বিশ্বব্যাপী কাজ করছেন, তারাই অংশ নেবেন এ সম্মেলনে। যেখানে থাকবে না কোন চাপাবাজি কিংবা গলাবাজির অবকাশ।”

সম্মেলনের প্লেনারি সেশনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইটালির মিলানোতে অবস্থিত বকোনি ইউনিভার্সিটির পলিসি অ্যানালাইসিস এবং পাবলিক ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান অধ্যাপক ফেব্রিজিয়ো পিজানি।

সম্মেলনে পিজানি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারণে বিশ্বে আবার উত্তেজনা সৃষ্টি হলো। শান্তি এবং সমৃদ্ধির স্লোগানে ভোট নেওয়ার পর যুদ্ধে লিপ্ত হলো যুক্তরাষ্ট্র। এভাবে মানবতার সমৃদ্ধি সম্ভব নয়। যুদ্ধে শুধু মানুষের প্রাণ যায় না, একইসাথে সম্পদ ধ্বংস হয় এবং উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়ে।”

পিজানি আরও বলেন, “আমরা আশা করছি, অবিলম্বে এমন পদক্ষেপ থেকে সরে আসবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তা না হলে মানবতা আরও হুমকিতে পড়তে বাধ্য। সভ্যতা নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়লেও অবাক হবার কিছু থাকবে না।”

পিজানি বলেন, “অর্থনৈতিক বৈষম্য প্রবল আকার ধারণ করেছে। এটি শুধু মানুষে মানুষে নয়, রাষ্ট্র বিশেষেও। অথচ তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে সবকিছু একভাবে এগিয়ে নিতে সমতার বিকল্প নেই।”

মালয়েশিয়ার নটিংহাম ইউনিভার্সিটির বিজনেস স্কুলের গবেষণা-ম্যাগাজিনের রিভিউ এডিটর অধ্যাপক অং ফন সিম বলেন, “তথ্য-প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলে উন্নয়ন-অগ্রগতি সম্ভব নয়, একইসাথে সমগ্র জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের পথে ধাবিত করার পাশাপাশি তথ্য-প্রযুক্তির মধ্য দিয়ে সামগ্রিক উন্নয়নের গতিও ত্বরান্বিত হচ্ছে বাংলাদেশে। উন্নয়নে আগ্রহী সকলের উচিত বাংলাদেশকে ফলো করা।”

সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আরও ছিলেন মস্কোর ফাইন্যান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রুস্তম নুরিভ, যুক্তরাষ্ট্রের বেলহেভেন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ওয়ারেন ম্যাথিউ, কানাডার ম্যাকাওয়ান ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জেনিফার বাওয়ারমেন, যুক্তরাজ্যের হার্টফোর্ডশায়ার ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক পি আর দত্ত, যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটানভিলে কলেজের ডেভিড আর বরকার ও নিউ ইয়র্ক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক উমাপাথে।

আরও ছিলেন বারবেডসের ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এন্থনি উড, সেন্ট্রাল কানেকটিকাট স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক লি ডব্লিউ লি, লেবাননের বালামন্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক গ্রিটা সাব, পাকিস্তানের ইসলামাবাদে অবস্থিত বাহরিয়া ইউনিভার্সিটির হিনা সামদানি এবং আমেনি ইয়ামিন ও নাইজেরিয়ার মাকুরডিতে অবস্থিত বেনু স্টেট ইউনিভার্সিটির ব্যবসা-ব্যবস্থাপনা বিষয়ক অধ্যাপক যোসেফ টেরিমা সেভ।

উপস্থিত ছিলেন শ্রীলংকার ইউনিভার্সিটি অব কলম্বোর ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ফাইন্যান্সের অধ্যাপক হেটিজ ডন কারুনারাটনে, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালানিয়ার হিরাথ এইচ এম টি এস, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ আফ্রিকার গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেস লিডারশিপের আখাবু এ অখারেডিয়া, কায়রোর হেলোয়ান ইউনিভার্সিটির ইকনোমিক অ্যান্ড ফরেন ট্রেডের অধ্যাপক আজা মোহাম্মদ হেজাজি সিহাটা ও ভারতের বাঙালুরের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব সায়েন্সের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক টিকাস জি ডি এবং অখিলেস কেবি।

আরও উপস্থিত ছিলেন পর্তুগালের লিসবন সিটিতে ইন্সটিটিউট ইউনিভার্সিটির মার্কেটিং অপারেশন অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক হেলিয়া গনকালভস পেরিরা, রাশিয়ার ফাইন্যান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির উকসানা গুলিয়েভা, প্যারিসের পলো ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ফিলিপ কফরে ও যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট যোসেফ ইউনিভার্সিটির এ জে স্ট্যাগলিয়ানো।

এছাড়া ছিলেন চীনের হারবিন সিটিতে অবস্থিত হারবিন ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির ফানহাও হাও এবং তিয়েনা ওয়াং, যুক্তরাজ্যের ডুরহাম ইউনিভার্সিটির রোবার্ট ডিক্সন, পোলান্ডের ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির সহযোগী অধ্যাপক এন্ড্রিজ প্যাকানা এবং টেডিউজ ওলেজার্জ, নিউ ইয়র্কের মেডগার এভার্স কলেজের মাইকেল ডি টাকের ও ক্লার্ক আটলান্টা ইউনিভার্সিটির সিরিয়ামা কান্থি হেরাথ।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!