স্থানীয় সময় শুক্রবার প্রতিনিধি দলটির পরিদর্শনকালে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের চ্যার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ।
এ সময় তারেক মো.আরিফুল বলেন, “বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় নিবেদিত থাকার জাতীয় প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবেই বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে প্রদত্ত ভাষণের অংশ “সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়” উদ্বৃত করে তিনি বলেন, “জাতির পিতার এই ঘোষণাই আমাদের বৈদেশিক সম্পর্কের মূলনীতি।”
উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, “প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে আমাদের রয়েছে উষ্ণ দ্বি-পাক্ষিক ও আঞ্চলিক সম্পর্ক। যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোর সাথে আমরা আন্তরিকতাপূর্ণ সম্পর্ক ও পারস্পরিক সমঝোতা অটুট রেখেছি। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ আজ একটি বিশ্বস্ত নাম।”
চ্যার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তারেক মো. আরিফুল সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থা দমনে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা তুলে ধরেন। এছাড়া বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর মধ্যে বহুমূখী সহযোগিতা দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ডিফেন্স অ্যাডভাইজার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম আখতারুজ্জামান প্রতিনিধি দলকে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের ভূমিকা ও বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
তিনি জানান, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সামনের সারির একটি দেশ। এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ১ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮৮ জন শান্তিরক্ষী জাতিসংঘের ৫৪টি পিস কিপিং মিশনে অংশ নিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ২৪২ জন নারী সদস্য। আর বর্তমানে ১১টি মিশনে নিয়োজিত রয়েছেন ৬ হাজার ৯২৭ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী। দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৩২ জন, আর আহত হয়েছেন ২১১ জন।
ডিফেন্স অ্যাডভাইজর আরও বলেন, “দক্ষতা, দায়িত্ববোধ ও প্রতিশ্রুতিশীল পেশাদারিত্বের কারণে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা বৈশ্বিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ‘রোল মডেল’ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। বাংলাদেশে শান্তিরক্ষীদের জন্য একটি বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যা শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অব্যাহত সুনামের পরিপ্রেক্ষিতে এবং পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের অংশ হিসেবে প্রতি বছরই ইউএস আর্মি ওয়ার কলেজের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ মিশন পরিদর্শনে আসেন। এ কলেজে অধ্যয়নরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও ছিলেন এ প্রতিনিধি দলে।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |