‘জঙ্গি উত্থানে পাকিস্তান ষড়যন্ত্র করছে’

বাংলাদেশে ‘জঙ্গি উত্থানে পাকিস্তান ষড়যন্ত্র করছে’ বলে অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল প্রিয়তোষ সাহা।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 April 2017, 10:47 AM
Updated : 1 April 2017, 12:17 PM

২৫ মার্চ লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি রেস্তোরাঁয় নবগঠিত সংগঠন ‘ক্রান্তি’ (সেন্টার ফর বাংলাদেশ ডায়ালগ, ইউএসএ) আয়োজিত গণহত্যা দিবসের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, “পাকিস্তান এখনো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আজ বাংলাদেশে যে জঙ্গি উত্থান হয়েছে তার মদদদাতা কে তা আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয় না।

“আপনাদের মনে আছে কিনা জানি না, ৭১ এর শেষ দিকে পাকিস্তানের পরাজয়ের আগ মুহূর্তে জাতিসংঘে রাশিয়া আমাদের পক্ষে ভেটো প্রয়োগ এবং পোল্যান্ডের সমর্থনের পর পাকিস্তানের প্রতিনিধি জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেছিলেন, পূর্ব পাকিস্তান চলে যায় যাক, পাকিস্তান হেরে যায় যাক, তবুও আমরা হাজার বছর ধরে বাঙালিকে শায়েস্তা করে যাবো।”

কনসাল জেনারেল স্মৃতিচারণ করে বলেন, “আমি তখন ছোট। আমরা নেত্রকোণায় ছিলাম। আমরা দেখেছি, কি বীভৎস নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশিয় দোসররা।”

স্মরণ সভার মূলবক্তা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ‘একাত্তরের ঘাতক দালালরা কে কোথায়’ বইটির সঙ্গে সম্পৃক্ত আহমেদ মূসা বলেন, “হিটলারের হাতে ৫ বছরে ৬০ লাখ ইহুদি গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন। আর আমাদের দেশে ৯ মাসে ৩০ লাখ মানুষ গণহত্যার শিকার হয়েছেন।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কাজী নাসির উদ্দীন বিশ্বে ১৭টি গণহত্যার কথা উল্লেখ করে বলেন, “গিনিস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে ৫টি দেশে ভয়াবহ গণহত্যা সংঘঠিত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নাম রয়েছে।”

স্বাগত বক্তব্যে ক্রান্তির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান খোকা বলেন, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যে গণহত্যা হয়েছিল তা প্রবাসী বাঙালি প্রজন্মের অনেকে জানে না। কিন্তু তাদেরকে বোঝাতে হবে, তাদের পূর্বপুরুষদের আবাসস্থল বাংলাদেশ। সেটি তাদের শেকড়, তাকে অস্বীকার করা যায় না।”

ক্রান্তির এই অনুষ্ঠানের জন্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি মফিদুল হকের পাঠানো ‘রিকগনিশন অব বাংলাদেশ জেনোসাইড’ লেখাটি পড়ে শোনান জিসান মাহমুদ ও তানজিনা হক।

সভায় আয়োজক নেতা-কর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কনসাল জেনারেলের স্ত্রী স্নিগ্ধা সাহা, ক্রান্তির সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জাহেদুল মাহমুদ জামি, সাংগঠনিক পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান, পরিচালক আল-আমিন বাবু, নির্বাহী পরিচালক শিলা মোস্তফা, যুগ্ম নির্বাহী পরিচালক শওকত চৌধুরী ও রিয়া আনহার।

সাংস্কৃতিক পর্বের গান ও কবিতায় অংশ নেন- শিশুশিল্পী ফারিয়ান আলম জামী, লুনা রহমান, শেলী আলম, আমিনুল হক, আহমেদ বশীর, ক্রান্তির পরিচালক শামীম রেজা, গণসংযোগ পরিচালক  হানিফ সিদ্দিকী, সাহিত্য বিষয়ক পরিচালক হাসিনা বানু, অভিবাসী লেখক কাজী রহমান, তাহশিয়ান খান, তারিনা খান, তাপসি নিলা, ফাতিমা দিনা, তাবরিজ খান, তন্বী নন্দী, সুধা নন্দী ও আলভী আহমেদ ।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!