প্যারিসে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ ফ্রান্স’ ও ‘ফ্রেঞ্চ-বাংলা স্কুল’-এর যৌথ উদ্যোগে ফ্রান্সের প্যারিসে উদযাপিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা দিবস।

স্থানীয় সময় রোববার প্যারিসের একটি হলে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দিবসটি শুরু করা হয়। এরপর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মহান মুক্তিযোদ্ধের স্মৃতিচারণ করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে অয়ন শাহপরান ও স্কুলের শিক্ষিক সায়েদা আক্তারের পরিচালনায় বক্তব্য দেন ফ্রান্সে দূতাবাস প্রতিনিধি আবুল হোসেন, স্তিফেন তুসেল, দানিয়াল রুদন্ত জিবালতা, জ্যাক লু সারজ, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সহ সভাপতি কামরুল হাসান বকুল ও স্কুলের শিক্ষিক ফাতেমা খাতুন।

একাত্তরের রণাঙ্গনের দিনগুলো নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা সিপাহী ফরহাদ হোসেন এবং মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জামিরুল ইসলাম মিয়া।

দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। এরপর শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।

তৃতীয় পর্বে ছিল ফ্রেঞ্চ-বাংলা স্কুলের শিক্ষার্থীদের ও স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় ছিল ছড়া, কবিতা, একক ও দলীয় নৃত্য, একক সঙ্গীত ও সমবেত কণ্ঠে স্বাধীন বাংলা বেতারের কয়েকটি গান।

স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অংশ নেয় হাসিব, আদনান, সামিয়া, আরশি, অরক, উনিশ, রাহিমা, জয়িতা, সূর্য, লিমা, ফোরকান, সৌরভ, অনুস্কা, বিজন, পার্থিব, প্রিয়ন্তি, নিবিড়, নিধুয়া,  নিপিসিসহ অন্যান্যরা।

স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় ছিল স্বরচিত কবিতা পাঠ, আবৃত্তি ও সঙ্গীত। অংশ নেন কবি বদরুজ্জামান, কবি আবু সাহেদ জামাল, অয়ন শাহ পরান, সোমা দাস, পলাশ গাঙ্গুলি, নাজনীন খন্দকার, বেনু রহমান ও খন্দকার আতাউর।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কি-বোর্ডে আবিদ রহমান, তবলায় প্লাসিড শিপন ও গিটারে ইমতিয়াজ রনি সহযোগিতা করেন। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন লিটন হাসান।