স্থানীয় সময় বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শারজাহর মালিহা রোডে এ দুর্ঘটনায় নিহত প্রিন্স রায় (২৩) দুবাইয়ের মারডক ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন বলে তার বাবা তপন রায় জানিয়েছেন।
নিহত প্রিন্সের পরিবারও আমিরাত প্রবাসী। বাবা তপন রায় চৌধুরীও একজন প্রকৌশলী এবং মা গৃহিনী। নিহতের বোন চিকিৎসক দিদি ঊর্মি রায় বিয়ের পর ভারতের পুনায় ভারতী হাসপাতালে কর্মজীবন শুরু করেছেন। তাদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোইয়ালখালী উপজেলার শাকপু্রা গ্রামে।
নিহতের বাবা তপন রায় জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার রাতে শারজাহের মালিহা রোডে স্কাইলাইন ইউনিভার্সিটির কাছে এক বন্ধুকে নামাতে গিয়েছিলেন প্রিন্স। ফেরার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা জনৈক আরব নাগরিক চালিত দ্রুতগামী আরেকটি গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
নিহত প্রিন্সের গাড়িতে থাকা পরিচয়পত্রের সূত্র ধরে পুলিশ পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে দুর্ঘটনার খবর পরিবারের সদস্যদের কাছে জানাতে পারে।
প্রিন্সের লাশ শারজাহের কুয়েতি হাসপাতালের মর্গেই রাখা হয়েছে।
সোমবার তার লাশ দুবাই থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হবে এবং মঙ্গলবার শাকপুরা গ্রামে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে বলে তপন রায় জানিয়েছেন।
বাবা-মায়ের একমাত্র পুত্র প্রিন্স তার শেষ ফেইসবুক স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন পরিবার নিয়েই-
"ফ্যামিলি যেন একটা মিউজিক-কখনো হাই নোট, কখনো লো-নোট। কিন্তু সবসময় একটা চমৎকার সঙ্গীতের নাম হচ্ছে ফ্যামিলি। যেখানে আপনি পান নিঃশর্ত ভালবাসা।"